
নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন গোলাম রাব্বানী।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গোলাম রাব্বানী ডাকসুর এ পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন।
'ডাকসুর বিষয়ে আমার বক্তব্য একদম স্পষ্ট। নির্ধারিত মেয়াদের অতিরিক্ত ১ মিনিটও পদে থাকতে চাই না'- শিরোনামে তিনি নিজের অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি লিখেন-
করোনা দুর্যোগকালীন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেহেতু আমাদের ৩৬৫ দিনের বৈধ মেয়াদের আগেই অর্থাৎ ১৮ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ। তাই আমাদের অসমাপ্ত কাজ, বিশেষ করে, মাস্টার প্লান বাস্তবায়নে সহায়তা এবং ডাকসুর শিক্ষার্থী সহায়তা ফান্ডে আমার ব্যক্তিগত কন্টিনজেন্সি ফান্ডের অর্থসহ ডাকসুর অব্যবহৃত বাজেটের টাকা হস্তান্তরের মাধ্যমে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীকে মানবিক সহায়তা প্রদান করতে চাই।
আর অবশ্যই চাই, ডাকসু নির্বাচনের ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া মাত্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হবে। ২৮ বছরের অচলায়তন ভেঙে সচল হওয়া ডাকসুকে আর অচল দেখতে চাই না।
করোনা দুর্যোগের জন্য যে সাড়ে তিন মাস আমরা কাজ করতে পারিনি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সে সময়টুকু আমাদের প্রাপ্য, আর সেই সময়ের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পরবর্তী নির্বাচনও আয়োজন করে ফেলতে পারবে। তাহলে ডাকসুর গঠনতন্ত্র (৬ এর গ ধারা) মেনেই আমরা নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে পারবো।
এটুকু শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমাদের যৌক্তিক দাবী। সম্মানিত উপাচার্য মহোদয় ডাকসুর কমিটি ভেঙ্গে দিয়েও যদি উক্ত দাবী মেনে নেন, আমার কোন আপত্তি নেই।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২০ জুন) ডাকসুর সাংবিধানিক মেয়াদ পেরিয়েছে। কিন্তু এর মধ্যে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেয়াদ পেরোলেও পদে থাকতে চান ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর ও জিএস গোলাম রাব্বানী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোলাম রাব্বানী তার পদ থেকে সরে দাঁড়ান।