ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার আকস্মিক ঢাকা সফরে সরকারের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে তা জনগণের সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের দায়িত্ব তাদের কী আলোচনা হলো, সেখানে সরকারের অবস্থান কী ছিলো তা জনগণকে জানানো। কিন্তু এর আগেও অনেক আলোচনা হয়েছে জানানো হয়নি তা জনগণকে। এমনকি চুক্তি হয়েছে সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়নি। কিন্তু তারপরও আমরা আশা করবো, জনগণের অধিকার আছে জানার। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সরকার কী করছে বা কী বলছে তা জানানোর দায়িত্ব সরকারের।

বুধবার (১৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ দাবি করেন। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি সেখানে যান।

নজরুল ইসলাম আরো বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের পররাষ্ট্রসচিব আমাদের দেশে যেকোনো সময় আসতেই পারেন। কিন্তু তিনি এসে কী কথা বলেছেন, এটা ছিলো গোপন। এখানে আপনারা উপস্থিত ছিলেন না, আমরা উপস্থিত ছিলাম না। কী আলোচনা হয়েছে এ সম্পর্কে আমরা ডিটেইলস জানিও না। পত্রপত্রিকায় যেটা দেখলাম সেটা হলো বন্ধুত্বের যে দুর্বলতা সেটা মেরামত করার জন্য উনি এসেছেন। বিএনপি পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব কারো সঙ্গে বৈরীতা নয়- এ আদর্শে বিশ্বাস করে। বিএনপি সমমর্যাদার ভিত্তিতে প্রতিবেশীসহ সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্মানজনক সহযোগিতার সম্পর্কে বিশ্বাসী।

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, যে কারণেই তিনি এসে থাকুন না কেন। আমাদের সরকারে যারাই আছেন, জোর করে হোক, ভোট ছাড়া হোক। তাদের দায়িত্ব হলো দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। আমরা আশা করবো, সরকার দেশের স্বার্থ রক্ষা করে পররাষ্ট্রনীতির পরিচালনা করবে এবং জনগণকে সকল বিষয় অবহিত করবে।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী শপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলী, কেন্দ্রীয় নেতা আমিনুল ইসলাম, সরদার নুরুজ্জামান, নজরুর ইসলাম প্রমুখ।