
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিচ্যুত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করেছে। তাকে চাকরিচ্যুত করা আইনের লঙ্ঘন।
একইসাথে সরকারকে কাপুরুষ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই সরকার ভিন্নমতকে সহ্য করতে পারে না। তাদের দলীয় লোক অন্যায় করলেও পার পেয়ে যাচ্ছে।
আজ শনিবার (১০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলোকে অব্যাহতির প্রতিবাদ ও পুনর্বহালের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিক্ষক সমন্বয় কমিটি।
‘কারও দয়ায় সরকার ক্ষমতায় নেই’- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, ঠিকই বলেছেন ওবায়দুল কাদের। কারণ তারা জনগণের দয়ায় নেই। কেননা জনগণ তো তাদের দয়া করেনি। তারা অন্য কোনো দেশের দয়ায় ক্ষমতায় আছেন।
তিনি বলেন, আজ সাড়ে ১২ বছরে সারাদেশে জনপদের পর জনপদে খুন, গুম, ধর্ষণ আর মানুষের আহাজারি। তারা ধর্ষণের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। মাদকের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। মাদক তো মন্ত্রিসভা পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে।
তিনি আরো বরেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন- ট্রাম্প নাকি আমাদের মতো সেবা পাচ্ছেন! এটা হয় মাদকের প্রভাব নয়তো গঞ্জিকার প্রভাব। অপদার্থ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খানকে চাকরিচ্যুত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ড. মোর্শেদ একজন মেধাবী শিক্ষক। তাকে ভিন্নমতের কারণে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। কারণ তিনি জিয়াউর রহমানের নামে প্রবন্ধ লিখেছেন। এজন্যই তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
আর ড. মোর্শেদকে চাকরিচ্যুত করার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ভঙ্গ করেছে। যাকে বলা হয়- ‘ইউনিভার্সিটি অব ল ব্রেকিং’। অথচ সরকারদলীয় শিক্ষকরা এমফিল-পিএইচডি থিসিস জালিয়াতি করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
রিজভী অবিলম্বে অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামান অ্যাপোলোকে চাকুরিতে পুনর্বহালে দাবি জানান।