সরকারের সকল কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র বিরোধী: ডা. জাফরুল্লাহ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২০, ১৫:২৫

গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, এই সরকারের সকল কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র বিরোধী। আমাদের সংবিধানে আমার কথা বলার অধিকার আছে। আমার সংগঠন করার অধিকার আছে, আমার বক্তব্য দেয়ার অধিকার আছে জনগণের কাছে। সেটা আমাকে করতে দেয়া হচ্ছে না।
শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এ অন্তর্ভুক্ত সকল কালো আইন বাতিলের দাবিতে এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, দেশে আজ গণতন্ত্র নেই। আজকে ভিন্ন নামে বাকশাল দেশে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না। আজকে জনগণকে কথা বলতে দেয়া হচ্ছে না
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, ১/১১’র সেনা সমর্থিত সরকার বি-রাজনীতিকীকরণের যে প্রক্রিয়া এদেশে চালু করেছিল, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে সেটিকে বহুগুণ কঠিন রূপ দিয়েছে। আরো কঠিনতর রূপদানের প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত আছে, যা অমানবিক ও সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক প্রচেষ্টার প্রেক্ষিতে দেশবাসীর কঠোর সমালোচনার কারণে প্রস্তাবিত রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন-২০২০ এর শর্ত হিসেবে পূর্ববর্তী দুইটি নির্বাচনের যেকোনোটিতে দলীয় প্রতীক নিয়ে কমপক্ষে একটি আসন লাভ কিংবা ৫ শতাংশ ভোট প্রাপ্তির বিধান ইতিমধ্যে বাতিল করা হয়েছে।
এ সময় দেশে সুষ্ঠু রাজনৈতিক ধারা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে কিছু দাবি নাম পেশ করা হয়-
১. গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর ৯০বি(৩) উপধারাটিও বাতিল করে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস ও গঠনতন্ত্রের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের বিধান চালু করা হোক।
২. স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের আগাম স্বাক্ষরের বিধান বাতিল করা হোক।
৩. নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাহী বিভাগের কর্তৃত্ব বন্ধ করা হোক।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন পদ্ধতি বাতিলের দাবি পরিষদ’র আহ্বায়ক ও সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুনের সভাপতিত্বে ও পরিষদ’র সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেমের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ভাসানী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মমতাজ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপ’র মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সামছুল আলম, গ্রীণ পার্টির চেয়ারম্যান রাজু আহমেদ খান, ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমিন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক এ.এ.এম. ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ জনতা ঐক্যের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান, বাংলাদেশ সৎ ও সংগ্রামী ভোটার পার্টির চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন বিজ্ঞানী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, এ্যাডভোকেট লিজা প্রমুখ।