বাকস্বাধীনতা তখনই শেষ হয়, যখন কেউ মিথ্যা ছড়ায়: জয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২১, ১৫:৩৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, প্রত্যেকেরই বাকস্বাধীনতার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেই স্বাধীনতা তখনই শেষ হয় যখন কেউ মিথ্যা ছড়ায়- যা অন্যের ক্ষতি করে।
তিনি বলেন, টুইটার ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ও সংস্থাকে নিষিদ্ধ করেছে, যারা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে- যেগুলো যুক্তরাষ্ট্রে সহিংসতার সৃষ্টি করেছে। অন্যের ক্ষতি করার অধিকার কারও নেই।
তিনি আরো বলেন, এটিই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাকস্বাধীনতার সীমা।
আজ শনিবার (৯ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া এক পোস্টে সজীব ওয়াজেদ জয় এসব কথা লিখেছেন।
তিনি বলেন, আমি চাই ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও পশ্চিমা অন্য দূতাবাসগুলো এই পোস্ট থেকে নোট নিক। আমরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশের বাক স্বাধীনতা নিয়ে আপনাদের কাছ থেকে আর ভণ্ডামিপূর্ণ বিবৃতি দেখতে চাই না।
বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে যারা অভিযোগ করেন তাদের উদ্দেশে জয় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও আদেশ জারির ক্ষমতা দেয়। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে এই সিদ্ধান্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নয়, হওয়া উচিত আদালতের।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মার্কিন আইনসভা কংগ্রেসের ভবন ক্যাপিটল হিলে ঢুকে পড়া ও হামলার ঘটনায় ফেসবুক ও টুইটার থেকে ট্রাম্পের পোস্ট বন্ধ করা হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করার জন্য অধিবেশন চলার সময় ট্রাম্পের শত শত সমর্থক এ হামলা চালায়।
পরে ফেসবুক ঘোষণা করে, তারা ২৪ ঘণ্টা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ফেসবুক পেজ থেকে কোনো পোস্ট অনুমোদন করবে না। গতকাল শুক্রবার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে টুইটার।
এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন গুগল তাদের সম্পূর্ণ মুক্ত মতামতের প্ল্যাটফর্ম ‘পার্লার’ স্থগিত করেছে। জনপ্রিয় গেমিং প্ল্যাটফর্ম টুইস্ট ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এই চ্যানেল ব্যবহার করে তিনি তার সমাবেশ সম্প্রচার করতেন। স্ন্যাপচ্যাট থেকেও নিষিদ্ধ তিনি। ট্রাম্পের মেমোরিবিলিয়া বিক্রি করে এমন দুইটি অনলাইন স্টোরকে এ সপ্তাহে নিষিদ্ধ করেছে ই-কর্মাস কোম্পানি শপিফাই।