
এম মোরশেদ খান। ফাইল ছবি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান দল থেকে পদত্যাগের জন্য চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বরাবর চিঠি দিয়েছেন।
দলের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহারের মাধ্যমে সক্রিয় রাজনীতি থেকেও অবসরে যাবেন বলে চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কাছে তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
পদত্যাগের কারণ হিসেবে মোরশেদ খান বলেছেন, দেশের রাজনীতি ও দলের অগ্রগতিতে নতুন কিছু সংযোজন করার মতো সঙ্গতি তাঁর নেই। তাই দুঃখ ও বেদনাক্লান্ত হৃদয়ে কঠিন একটি সিদ্ধান্ত তাকে নিতে হলো।
চিঠিতে মোরশেদ খান বলেছেন, ‘নেহাত ব্যক্তিগত কারণ হেতু, আমার উপলব্ধি-সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেবার এখনই উপযুক্ত সময়। বহুবিধ বিচার-বিশ্লেষণ শেষে আমি অবিলম্বে অর্থাৎ, আজ ৫ নভেম্বর ২০১৯ হতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ প্রত্যাহারসহ বর্তমানে অলঙ্কৃত ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে আমি পদত্যাগ করছি।’
দীর্ঘদিন বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত চট্টগ্রামের এই জনপ্রিয় নেতা বর্তমানে দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন।
মোরশেদ খান ১৯৮৬ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। এরপর চট্টগ্রাম-৮ আসন থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ সাল, এরপর জুন ’৯৬ এবং ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৯২ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিশেষ দূত ছিলেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ বিশেষ কমিটি অন ফরেন অ্যাফেয়ার্সের চেয়ারম্যানও ছিলেন। ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত জোট সরকারের আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সিটিসেল, প্যাসিফিক মোটরস, আরব বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্ঠানে তাঁর বিনিয়োগ ও সম্পত্তি রয়েছে।