করোনা আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট ভালো, বাসায় থেকেই চিকিৎসা নেবেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাতে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সিটি স্ক্যান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।   

খালেদা জিয়ার ফুসফুসে সংক্রমণের মাত্রা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি আগেও বুঝিয়ে বলেছি। অত্যন্ত মিনিমান, নেগলিজিবল অ্যামাউন্ট। যেটাকে সত্যিকার অর্থে মাইল্ড বলা যায়। আগামীকাল ওনারা পূর্ণাঙ্গ একটা রিপোর্ট দেবে তারপর বোঝা যাবে। 

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া আছে জানিয়ে ডা. এ জেড এম জাহিদ বলেন, দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া আছে। সপ্তম দিন হওয়াতে এখনো শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। ১২ থেকে ১৪ দিন পর সেটা বলা যাবে। আমাদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ আছে। ফুসফুসের সংক্রমণ বোঝার জন্য আগে এক্সরে করা হতো কিন্তু এখন সিটি স্ক্যান করা হয়। এতে ভালোমতো সবকিছু বোঝা যায়। যেটা স্বাভাবিক এক্সরে-তে বোঝা যায় না। তবে সিটি স্ক্যান রিপোর্ট অনেক ভালো এসেছে। করোনার যে উপসর্গগুলো অন্যান্য রোগীর ক্ষেত্রে থাকে সেগুলো ম্যাডামের ছিলো না। 

ডা. জাহিদ বলেন, আমাদের চিকিৎসকরা ম্যাডামের ফুসফুসের কী অবস্থা তা দেখতে চেয়েছিলেন। তাই আজকে হাসপাতালে তার সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। প্রাথমিক যে রিপোর্ট পেয়েছি তাতে দেখা গেছে, ম্যাডামের ফুসফুসে অত্যন্ত মিনিমাম ইনফেকশন। বিষয়টি পর্যালোচনা করে তার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমানসহ অন্য চিকিৎসকরা আলোচনা করে কোনো ওষুধ প্রয়োজন হলে যোগ করবেন। পরবর্তীতে তার শারীরিক অবস্থা আমাদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এটা আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। 

খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়ে জাহিদ বলেন, এখানে (বাসা) বা হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখনো তাকে শঙ্কামুক্ত বলার সময় আসেনি। 

এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন থেকে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

শায়রুল কবির খান জানান, বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় বিএনপির চেয়ারপারসনকে। সেখানে তার সিটি স্ক্যান করানোর পর রিপোর্ট পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ডা. এফ এম সিদ্দিকী বলেন, ‘ম্যাডামের ফিজিক্যাল কন্ডিশন ঠিক আছে। তার ব্লাডের পরীক্ষাও ভালো এসেছে। কালকে রাতে এবং আজকে সকালে একটু জ্বর উঠেছিল, কিছুক্ষণ ছিলো। টেস্টে সবই ক্লিয়ার আছে। তাই মনে করছি, তিনি স্ট্যাবল আছেন। কভিডের প্রথম সপ্তাহের সঙ্গে দ্বিতীয় সপ্তাহের পার্থক্য আছে। দ্বিতীয় সপ্তাহটা আরো সতর্ক থাকতে হবে। যেকোনো এক সময় সিটি স্ক্যান করাব। অক্সিজেনের অবস্থাও মোটামুটি ভালো আছে। খুব দ্রুত সিটি স্ক্যান করার পর বুঝতে পারব বাসায় রেখে তার চিকিৎসা হবে, নাকি কোনো হাসপাতালে অবজারভেশনে রাখা দরকার।’