
আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, হেফাজত ইসলাম জামায়াতে ইসলামের ‘বি’ টিম। হেফাজতে ইসলামসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিরোধিতাকারীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ করার কথাও বলেন তিনি।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর আম্রকাননের শেখ হাসিনা মঞ্চে মুজিবনগর দিবসের প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
মাহাবুব উল আলম হানিফ বলেন, হেফাজত, জামায়াত, বিএনপি এক এবং অভিন্ন। হেফাজত বিএনপি-জামায়াতের ‘বি’ টিম। এরা প্রত্যেকেই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। যারা হেফাজতে আছে তারা সংবিধানকে মানতে চায় না, তারা জাতীয় সংগীত গাইতে চায় না, তারা জাতীয় পতাকাকে সম্মান করতেও চায় না। এগুলো বিএনপির নেতৃত্বে শক্ত দানা বেঁধেছে। ২০১৩ সালে যেভাবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে সাজা দিয়ে বিষ দাঁত ভেঙে দেয়া হয়েছে, এই ধর্ম ব্যবসায়ী যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করে এই দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে পরিণত করতে চাচ্ছে, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের দাঁত উপড়ে ফেলা হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দরিদ্রতা নিয়ে যা বলেছেন সে বিষয়টি আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়। বাংলাদেশে যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
এর আগে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন তিনি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন এমপি, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলি স্মৃতিসৌধে পুষ্প অর্পণ করেন।
এর পরপরই পুলিশ ও আনসার বাহিনীর একটি চৌকস দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। সকাল পোনে ৬টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দিবসের কর্মসূচি শুরু করেন।