
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ শাহ আলম। ফাইল ছবি
২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘গরিব মারার’ বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। সেই সঙ্গে গরিববান্ধব, কর্মসংস্থানমুখী ও জীবন-জীবিকা রক্ষার বাজেট প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে বামপন্থি এই দলটি।
সিপিবি বলছে, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে করোনার মরণঘাতী মহাবিপর্যয় মোকাবিলার অগ্রাধিকারমূলক কর্তব্যকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার (৩ জুন) বিকেলে এক বিবৃতিতে প্রাথমিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ শাহ আলম।
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বাজেট প্রস্তাবকে ৯৯ শতাংশ মানুষের স্বার্থবিরোধী, গতানুগতিক, আমলাতান্ত্রিক আখ্যায়িত করে নেতারা বলেন, ‘করোনা মহাবিপর্যয়কালে পীড়িত মানুষকে বাঁচানোর জন্য স্বাস্থ্য খাতের প্রাধান্য পাওয়া উচিত হলেও প্রকৃত অর্থে তা করা হয়নি। করোনা বিপর্যয় মোকাবিলার পাশাপাশি করোনার কারণে সৃষ্ট জনজীবনের সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য নির্ধারণে এই বাজেট ব্যর্থ হয়েছে।
‘এই বাজেটে ৯৯ শতাংশ সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকা-রুটি-রুজি-সহায়-সম্পদ লুটপাট করে মুষ্ঠিমেয় ১ শতাংশ লুটেরা ধনিকদের স্বার্থ রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে সিপিবির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রস্তাবিত রাজস্ব আয়ে পরোক্ষ কর প্রত্যক্ষ করের দ্বিগুণ নির্ধারণ করা হয়েছে। আর এই দুঃসহ ভারের সবটাই বহন করতে হবে গরিব-মধ্যবিত্তসহ সাধারণ নাগরিকদেরকে। অথচ বিত্তবানদের উপর ধার্য্য প্রত্যক্ষ কর রেয়াত অব্যাহত রাখা হয়েছে। অপ্রদর্শিত কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ রাখা হয়েছে। করোনাকালে প্রদত্ত প্রণোদনার প্রায় পুরোটাই ধনিক শ্রেণির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দের অন্যান্য ক্ষেত্রেও সিংহভাগ বিত্তবানদের স্বার্থে ব্যয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেটে এভাবে গরিব জনগণের সম্পদ মুষ্টিমেয় লুটেরা ধনিকের হাতে প্রবাহিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’