এনআইডি’র কর্তৃত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ায় বিএনপির উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২১, ১৭:৪৩

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যাবলীর কর্তৃত্ব নির্বাচন কমিশন হতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিএনপি।
সোমবার (১৪ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উদ্বেগের কথা প্রকাশ করেন।
গত ১২ জুন দলটির স্থায়ী কমিটির সভায় এ ব্যাপারে আলোচনা হয়। বিএনপি মনে করে, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কার্যাবলী ইতিপূবে নির্বাচন কমিশন কতৃক পরিচালিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনে যারা কমিশনের দায়িত্ব পালন করছেন তারা নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলেও কমিশন সংবিধান অনুযায়ী একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। স্বাভাবিক নিয়ম অনুযায়ী সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতার সঙ্গেই দায়িত্ব পালন করার কথা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের অধীনে মন্ত্রণালয়। বিগত এক যুগের অভিজ্ঞতায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সরকারের ক্রীড়নক হিসাবে কাজ করছে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবহার করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কতৃত্ব হস্তান্তর করা হলে তা স্বাধীন নিরপেক্ষ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ন্যূনতম সম্ভাবনাটুকুও বিনষ্ট করবে।
সভা মনে করে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হলে তা ভবিষ্যতে গণতন্ত্রের নূন্যতম পরিসরকেও ধ্বংস করবে এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াকে চিরতরে ধ্বংস করবে। অবিলম্বে এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। অন্যথায় এর নেতিবাচক প্রভাবের জন্য সরকারকেই সকল দায় দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে দলটি।
সভায় দলের মহাসচিব দলের চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন। দেশনেত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। তাঁর আশু রোগমুক্তির জন্য মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্র নিকট দোয়া করা হয়।
বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, ব্যরিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্ব চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।