
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন প্রবীণ আইনজীবী ও বিএনপি নেতা খন্দকার মাহবুব হোসেনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তার করোনাভাইরাস নেগেটিভ এসেছে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়তে আরো সময় লাগবে বলে জানা গেছে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) খন্দকার মাহবুব হোসেনের জুনিয়র অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা বলেন, ‘স্যারের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে করোনাপরবর্তী জটিলতায় স্যারের শরীর দুর্বল আছে। বাইরের খাবার খেতে পারছেন না। ইশারায় তিনি সবকিছুই বুঝতে পারছেন। তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও কাজ করছে।’
মাসুদ জানান, খন্দকার মাহবুব হোসেনের সন্তানরা দেশের বাইরে থেকে ছুটে এসেছেন। তারা তাদের বাবার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গত ৭ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
বুধবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। তবে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৬ আগস্ট করোনা আক্রান্ত খন্দকার মাহবুব হোসেনকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। এরপর একই বছরের ২০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে পারমিশন পান।
সিনিয়র এই আইনজীবী ১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী।