
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তি ৩০ ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে ওই দিন ঢাকাসহ দেশজুড়ে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
আজ সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির উদ্যোগে সমাবেশ করা হবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা নয়াপল্টন দলের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে ওইদিনে দেশব্যাপী বিএনপি কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন ও নেতাকর্মীরা কালোব্যাজ ধারণ করবেন।
তিনি আরো বলেন, গোটা জাতির প্রত্যাশা ছিল ২০১৪ সালে বিনা ভোটে সরকার গঠন ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট ডাকাতির জন্য হয়তো তাদের অনুশোচনা হবে এবং গণতন্ত্র উত্তরণের একটা পথ দেখানো হবে। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন, রাজনৈতিক সংকট উত্তরণের জন্য কোনও দিকনির্দেশনা থাকবে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে। কিন্তু জাতি চরমভাবে হতাশ হয়েছে। কোনো পথ কিংবা আশার আলো দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে এই কাউন্সিল।
ঢাকা সিটি করপোরেশনের তফসিল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রিজভী বলেন, এ বিষয়ে যথাযথ সময়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভবনে হামলার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাদের সহযোগিতায় রড, লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরু ও সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নারকীয় হামলা চালানো হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন নুরসহ কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী। আমি এ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশারেফ হোসেন প্রমুখ।