Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

ঢাবি প্রক্টরের মদদে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব: রাশেদ

Icon

প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯, ২০:১৫

ঢাবি প্রক্টরের মদদে সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব: রাশেদ

বুধবার দুপুরে ঢামেকের জরুরি বিভাগের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাবি প্রক্টর ড. গোলাম রাব্বানীর ‘মদদে’ সিসিটিভি ফুটেজ গায়েব হয়েছে বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করা হলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে আসলে ঘ্টনায় জড়িত ছিল কারা? প্রক্টর গোলাম রাব্বানীর মদদে সিসিটিভি ফুটেজ সরানো হয়েছে। অথচ হামলার সময় পাঁচবার ফোন করেও প্রক্টরকে পাওয়া যায়নি। পরে তিনি ফোন রিসিভ করে গালাগালি শুরু করেন। শুরুতেই তিনি যদি এসে ব্যবস্থা নিতেন, আমাদের ওপর এমন নির্মমভাবে হামলা করতে পারত না। আমরা এই দালাল দলকানা প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করছি।’

রাশেদ আরো বলেন, আমরা নাটক করছি না, নাটক তারাই করছে যারা ছাত্রলীগের নামে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ বানিয়ে অপকর্ম করছে। আমরা নাটক করলে মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতাম না। সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করতে পারলেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা রাশেদ বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও বাহাউদ্দিন নাছিম হাসপাতালে এসে বলেছিলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করা হবে। কিন্তু আমরা দেখেছি, মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিনজনকেই কেবল গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু মূল আসামি সনজিত ও সাদ্দামকে এখনো আটক করা হয়নি। অথচ আমাদের কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে, তাতে হামলায় সনজিত ও সাদ্দামের অংশগ্রহণ আছে। আমরা সেটি প্রকাশ করেছি। কিন্তু সনজিত-সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। তথ্যপ্রমাণ থাকলেও তাদের ধরা হচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা ঢাবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন। এছাড়া সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার, আহতদের উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তারা।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীদের অবস্থা জানিয়ে রাশেদ খান বলেন, তুহিন ফারাবি আইসিইউতে ছিল। তাকে আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছিল। কিন্তু আজ (বুধবার) আবার তাকে এইচডিইউতে নেয়া হয়েছে। মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য ও দেশবাসীকে দেখানোর জন্য তাকে কেবিনে নেয়া হয়েছিল। সোহেল গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাতে অপারেশন করা হয়। তার মাথায় রক্ত জমাট বেঁধেছিল। এটি অপারেশন না করলে তার অবস্থা আরো খারাপ হতে পারত। এছাড়া আরিফুল ইসলামের চোখে আঘাত রয়েছে। এখনো ঠিকমতো দেখতে পারছে না। আর ভিপি নুরের ছোট ভাই আমিনুর সবচেয়ে বেশি আহত হয়েছে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫