ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে কোনো বিতর্কিত কাউকে মনোনয়ন দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, দুই সিটিতে মেয়র পদে বিজয়ী হতে পারে জনপ্রিয় এমন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে বিভিন্ন সংস্থা ও তার নিজস্ব টিম দিয়ে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে জরিপ করেছেন।

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভোগরা- জয়দেবপুর- মদনপুর (ঢাকা-বাইপাস) সড়কের নির্মাণাধীন ছয় লেন বিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে করতে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সকল সহায়তা করা হবে। সরকার ও সরকারি দল সিটি নির্বাচনে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করবে না।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে। মাঝখানে প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ নিয়ে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে এক্সপ্রেসওয়ের কাজ কিছুটা মন্থর গতিতে চলছিল। অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি ইতোমধ্যে সমাধান হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, জীবিকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। এজন্য সবাইকে সড়কে চলাচলের জন্য ট্রাফিক আইন মেনে চলা ও মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের হেলমেট ব্যবহারের করা উচিত।  

সড়কে দুর্ঘটনার জন্য উঠতি নেতাদের দায়ী করে মন্ত্রী বলেন, উঠতি বয়সের তরুণরা ও নীতিহীন নেতারা ঢাকা এবং ঢাকাসহ সারাদেশের ট্রাফিক আইন মেনে চলে না। তাদের ছত্রছায়ায় মহাসড়কগুলোতে নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ বিভিন্ন থ্রি হুইলার চলাচল করছে। তারা ভোট পাওয়ার জন্য এসব যানবাহন চলাচলে সুযোগ করে দেয়। এসব যান সড়ক ও মহাসড়কে দুর্ঘটনার অন্যতম বড় কারণ।

এসময় তিনি সবাইকে সড়কে চলাচলে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী জাওয়াদ আলম, এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক সবুজ উদ্দিন খান, চীনের রাষ্ট্রদূত এইচ ই লি জিমিংসহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।