প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আল্টিমেটাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ২১:১৯

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হোসেন
অবিলম্বে নারীবিদ্বেষী, কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হোসেনের পদত্যাগ ও প্রকাশে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছে প্রীতিলতা ব্রিগেড। প্রীতিলতা ব্রিগেড মনে করে, এ ধরণের কুরুচীপূর্ণ, নারীবিদ্বেষী বক্তব্যের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে নারীর সাংবিধানিক অধিকারও লৈঙ্গিক সমতাকে নিশ্চিত করতে।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) প্রীতিলতা ব্রিগেডের সমন্বয়ক সুমাইয়া সেতু সংবাদমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে এ দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি একটি অনলাইন শোতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তাঁর নাতনী জাইমা রহমানকে ঘিরে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হোসেন। ডা. মুরাদ হোসেনের বক্তব্য একইসাথে কুরুচীপূর্ণ, নিপীড়নমূলক এবং নারীবিদ্বেষী। মুরাদ হোসেনের অশ্রাব্য বক্তব্য, বিকৃত মানসিকতার প্রকাশ প্রীতিলতা ব্রিগেডকে ক্ষুব্ধ করেছে।
নিজেদের নারীবান্ধব বলে জানান দিলেও বর্তমান সরকার যে মূলত কতিপয় নারীবিদ্বেষী, হীনমানসিকতার ব্যক্তি দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ সামনে এসেছে সরকারের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেনের বক্তব্য। একটি দায়িত্বশীল পদে আসীন থেকে তিনি যেভাবে দম্ভভরে জাইমা রহমানকে নিয়ে বিকৃত বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বক্তব্যটি প্রদানের সময় প্রতিমন্ত্রী ও অনুষ্ঠান সঞ্চালকের অঙ্গভঙ্গিও প্রমাণ করে তারা নারীর প্রতি নূন্যতম সম্মানবোধ তাদের নেই।
এ ধরণের অশ্রাব্য বক্তব্য প্রদানের পরও এখন পর্যন্ত ডা. মুরাদের বিপক্ষে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি সরকার। এরই মধ্যে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহীর সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর কথোপকথন সামনে এসেছে। অভিনেত্রী মাহিয়া মাহীর প্রতি তার অশ্রাব্য ভাষা ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনী ব্যবহার করে তাঁকে তুলে আনার হুমকী স্পষ্ট করেছে করেছে ক্ষমতার কতোটা অপব্যবহার এই মন্ত্রী করেছেন।
সরকারী দলের সমর্থক ও নেতৃবৃন্দের এ ধরণের মানসিকতা নতুন নয়। অতীতে নারী নিপীড়ন, ধর্ষণকাণ্ডের সাথে ক্ষমতাসীনদের সংশ্লিষ্টতা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। কিন্তু সরকারের মাত্রাধিক ক্ষমতার চর্চা ও নারীর প্রতি সরকারের হীন দর্শনই এ সমস্ত নারী নিপীড়কদের আস্কারা দিয়ে এ সমস্ত ঘটনার পুনরাবৃত্তির সুযোগ তৈরী করে দিয়েছে।