সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ মানে জেনেশুনে বিষপান: গয়েশ্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:৫৪

গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ফাইল ছবি
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণকে জেনেশুনে বিষপানের সঙ্গে তুলনা করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিতে পারবে না এটা সবাই জানে। সেজন্য তাদের মধ্যে নির্বাচনের উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই। নির্বাচন কমিশনের প্রতি শুধু আমাদের না, সারাদেশের মানুষের আস্থা নেই। তারপরও আমরা জেনে-শুনে বিষপান করছি। কারণ আপনাদের মুখ রক্ষা করার জন্য। নির্বাচনে গেলেও সমালোচনা হয়, না গেলেও সমালোচনা হয়। সে কারণে সবাই প্রত্যক্ষ করেন এ নির্বাচন কমিশনের শেষ পর্যন্ত। তারা কী করে এবং একটা সময় আসবে সবাই যখন মুখ ফিরিয়ে নেবেন। তখন আমরা নির্বাচন কমিশন থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবো। আর কোনো নির্বাচনে যাবো না।
তিনি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) অনেক আগে আবিষ্কার হয়েছে। বিশ্ব থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে ইভিএম পদ্ধতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে হাকডাক উঠছে ইভিএমে সহজে কারচুপি সম্ভব। তারা ইভিএম পরিত্যাগ করছে। আর আমরা এটি ব্যবহার করছি। সাধারণ মানুষের এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই। এটা নতুন প্রযুক্তি। এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সম্যক ধারণা নেই। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেদ করছেন যে, ইভিএম জনগণকে গেলাবেন।
সিটি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি দাবি করে গয়েশ্বর বলেন, জনগণ যেহেতু ভোট দিতে পারে না, সেহেতু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর বিএনপি অফিসের সামনে আগ্রহটা দেখা যায়।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটাকে তো নির্বাচন কমিশন বলা যায় না। এটা হলো সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়নের একটা প্রতিষ্ঠান। তাই এটাকে নির্বাচন কমিশন বলা হলে নির্বাচন কমিশনের প্রতি বিদ্রুপ করা হবে।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসাসের সভাপতি ড. মামুন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হেলাল খান, সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার, গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক ডি এম আমিরুল ইসলাম অমরসহ সংগঠনটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।