বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘জান্নাত চাওয়া’ সেই আ.লীগ নেতাকে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৯:১১

বিজয় দিবসে তাহেরপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পৌর আওয়ামী লীগের মোনাজাত পরিচালনা করেন ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত
রাজশাহীর বাগমারায় বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের অনুষ্ঠানে মোনাজাত করতে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘জান্নাত চাওয়ায়’ তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাককে পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দল থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা আওয়ামী লীগের কাছে সুপারিশও করা হয়েছে।
তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আবুল কালাম আজাদ জানান, বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে কথা বলার সময়, মোনাজাত করার সময়- এমন অসচেতন আচরণ তারা ক্ষমা করতে পারেন না। এ জন্য জরুরি সভা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আর আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেছেন, তিনি অসচেতনভাবে এ কথা বলে ফেলেছেন। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ার কারণে এমন হতে পারে জানিয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন।
এর আগে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে তাহেরপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগ নেতারা। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সেখানে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক খন্দকার আব্দুর রাজ্জাক।
মোনাজাতের একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার জনক, জাতির জনক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যারা হত্যা করেছে, আল্লাহ-তারা মানুষ নয়, তারা অমানুষ। মাবুদ, জাতির জনক এবং তার পরিবারকে যারা হত্যা করেছে, আল্লাহ-সকলকে তুমি জান্নাত দান করে দিও আল্লাহ।’
মোনাজাতের পর পরই এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। একটি ভিডিও ক্লিপও ছড়িয়ে পড়ে।
তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ জানান, এই মোনাজাত নিয়ে সমালোচনা চলছে। এটি নিয়ে শুক্রবার বিকেলে পৌর আওয়ামী লীগের জরুরি সভা হয়েছে। সেখানে আলোচনা শেষে আব্দুর রাজ্জাককে ধর্মবিষয়ক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।