ইসি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করবেন না: ওবায়দুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২২:০০

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘শুধু রাজনৈতিক ফায়দার জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে কোনো অযৌক্তিক ও বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টায় লিপ্ত না হয়ে শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এই কমিশন ‘অবাধ ও নিরপেক্ষ’ নির্বাচন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হবে।
রবিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাবিত নাম বাদ পড়লেও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠিত হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। গঠিত নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। আমরা আশা করি, নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের সম্মানিত সদস্যগণ তাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবেন। দেশের মানুষ যাতে ভোটের মাধ্যমে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে পারে, সে বিষয়টি সুনিশ্চিত করবেন।’
নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে আগামী নির্বাচনগুলো যেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান ওবায়াদুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলসমূহ সে দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন এবং গণতন্ত্রের রীতিনীতি অনুসরণ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।’
নতুন নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের কোনো প্রকার আগ্রহ নেই। তারা সম্পূর্ণ জনবিচ্ছিন্ন ও হতাশাগ্রস্ত একটি রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের ফলেই বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পায়। তাদের লক্ষ্য নির্বাচন নয়, হত্যাকাণ্ড-ষড়যন্ত্র সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করা।’
দুর্নীতির দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নির্বাচনে অংশগ্রহণের যোগ্যতা হারানোর পর বিএনপির কার নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেবে- তা নিয়ে দ্বিধায় ভুগছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির দণ্ডপ্রাপ্ত শীর্ষ নেতাদের নির্দেশের তারা আজ নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। বিএনপি বারবার দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে, সংবিধানকে হত্যা করেছে। গণতন্ত্রের রীতিনীতিকে লঙ্ঘন করেছে। বিএনপি কখনও নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা গ্রহণ করেনি। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে সংবিধান ও আইনের বিধিবিধান ভূলুণ্ঠিত করে অসাংবিধানিক পন্থায় জনগণকে জিম্মি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছে।’