ইশরাকের নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা ২৭ জানুয়ারি

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:১২

বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। পুরনো ছবি
আগামী ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করবেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ৪৬নং ওয়ার্ডের ফরিদাবাদ (জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলুম) মাদ্রাসায় জুম্মার নামাজ আদায় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
ইশরাক হোসেন বলেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি নির্বাচনি ইশতেহারের দিন ঠিক করেছি। আমি যে প্রত্যেকদিন কথা বলছি; বক্তব্য দিচ্ছি- আমার প্রতিপক্ষের লোকেরা বিন্দুমাত্র এসবের ব্যাপারে ধারণা রাখে না। আমি প্রত্যেক দিনই ঢাকাবাসীর জন্য নানা পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলছি। কিন্তু ক্ষমতাসীনরা হয়তো এগুলো শুনছেন না। কারণ তারাতো ব্যর্থ।
গত নয় বছর ঢাকার দুই সিটিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মেয়রগণ ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে বিএনপির এই মেয়র প্রার্থী বলেন, গত ১৩ বছর ধরে তাদের দল ক্ষমতায়, গত নয় বছর ধরে নগরের দায়িত্বে আছে তারা। কিন্তু তারা এখনো নগরের কোনো পরিবর্তন করতে পারেনি। আর কোনো ধরনের পরিবর্তন করতে পারবে বলে মনে হয় না। আর আমি তাদের জবাব দেয়ার কোনো প্রয়োজন আছে বলেও মনে করি না। কারণ তারা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেনি।
শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সাদেক হোসেন খোকা দেশে মৃত্যুবরণ করতে পারেননি অভিযোগ করে ইশরাক বলেন, আজ শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। আমি উনার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। উনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছিলেন। তিনি দেশে মৃত্যুবরণ করতে পারেননি। তিনি মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। ওনার পরিবারের দুঃখটা আমি খুব ভালো করে বুঝি। কারণ আমার বাবাও একই ধরনের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন। ওনাকেও এই বাংলাদেশে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে দেয়া হয়নি শুধুমাত্র বিরোধীদলের রাজনীতি করার কারণে।
তিনি বলেন, চারদিকে ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, দুঃশাসনের বিপক্ষে গণজোয়ার শুরু হয়েছে। এই দুঃশাসনের বিপক্ষে আপনারা আগামী পহেলা ফেব্রুয়ারি স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেন্দ্রে যাবেন এবং ধানের শীষে ভোট দিবেন। এই জনশ্রোত দেখে নির্বাচন এবং বিএনপির বিজয়কে বানচাল করার যে ষড়যন্ত্র অপচেষ্টা করা হচ্ছে সেটা কখনোই সফল হবে না।
নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনে কোনো নোটিশ পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, আমি এমন ধরনের কোনো নোটিশ পাইনি। আমার আইনজীবী যারা কাজ করছেন তাদের সঙ্গে আমার প্রতিনিয়ত যোগাযোগ হচ্ছে। সেখান থেকে জানতে পেরেছি- এখন পর্যন্ত আমরা কোনো নোটিশ পাইনি।