Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

১০ আগস্ট জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ জুলাই ২০২২, ২১:২২

১০ আগস্ট জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও

হারিকেন হাতে গণসংহতি আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ

বিদ্যুৎ নিয়ে লুটপাট ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ১০ আগস্ট জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন।

আজ বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টায়, জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিদ্যুৎখাতে সীমাহীন লুটপাট-দুর্নীতির প্রতিবাদে গণসংহতি আন্দোলন ঢাকা মহানগরের (উত্তর-দক্ষিণ) আয়োজনে হারিকেন হাতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। 

সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, দেশ এখন ভয়াবহ বিদ্যুৎ সংকটে আছে। পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে একথা সরকার নিজেই বলছেন। কদিন আগেই মহাসমারোহে শতভাগ বিদ্যুতায়নের অনুষ্ঠান করা হলো। আর এখন সরকারই বলছে হারিকেন জ্বালাও, কুপি জ্বালাও। সরকারের ঘোষণার আগেই লোডশেডিং শুরু হয়ে গেছে। সরকার বলছে সুসম লোডশেডিং আর গ্রামে লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত। যারা দেশের অর্থনীতি চালান তারাই সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির মধ্যে পরছেন। ইতিমধ্যে সারকারখানাগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার ক্ষমতায় এসে বিদ্যুৎ নিয়ে মানুষের সংকট ও বিক্ষোভকে কাজে লাগিয়ে লুটপাটের আয়োজন গড়ে তোলা হলো। দ্রুত সমাধানের কথা বলে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হলো। ২০১৪ সাল পর্যন্ত চলার কথা ছিলো। এখন ২০২২ সাল পর্যন্তও এগুলো চলছে এবং আবারো নবায়ন করা হচ্ছে। তাদেরকে বসিয়ে বসিয়ে গত ১২ বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জের নামে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে এবং লুট করা হয়েছে।


গত ১৩ বছর সরকার ক্ষমতায় আছে কিন্তু দেশের মজুত থেকে এ ইউনিট গ্যাসও উত্তোলন করতে পারেনি। বরং লুটপাটের সুযোগ তৈরির জন্য পুরো বিদ্যুৎখাতকে আমদানি নির্ভর করে ফেলা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতকে অনিরাপদ করার সাথে সাথে শিল্প কৃষি ও পুরো অর্থনীতিকে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। সরকার চুরি দুর্নীতি ও লুটপাট করে পুরো রিজার্ভ খালি করে ফেলেছে। এখন তেল-গ্যাস-ফার্নেস অয়েল আমদানি করে এর ব্যয় মেটানোর সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেছে।

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে সরকারের কোন অগ্রাধিকার নেই। সুন্দরবনের পাশে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হচ্ছে ভারতের স্বার্থে। আমরা এর বিরোধিতা করে বলেছিলাম নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে মনোযোগ দিতে হবে আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষা করার জন্য। কিন্তু সরকার সেদিকে হাটে নাই; বরং নগদ লুটপাটের আয়োজনের দিকে নজর তাদের। 

দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দায় মুক্তি আইন বাতিল করে স্বাধীন জাতীয় কমিশন গঠন করে বিদ্যুৎ খাতে চুরি দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার করতে হবে। এরা তা করবে না। এজন্য এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে এই বিচার সম্পন্ন করতে হবে। 

তিনি বিদ্যুৎ নিয়ে লুটপাট ও দুর্নীতির প্রতিবাদে আগামী ১০ আগস্ট ২০২২ জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও করার মাধ্যমে সরকারকে হুশিয়ার করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।


ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলিফ দেওয়ানের সভাপতিত্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য শ্রমিকনেতা তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, ঢাকা জেলা সদস্য সচিব মিজানুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক মনিরুল হুদা বাবন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫