
বক্তব্য রাখছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান জোনায়েদ সাকি বলেছেন, সরকার কথিত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি ইউক্রেন যুদ্ধের ফলাফল নয় বরং তাদের লুটপাটের নীতি-অব্যবস্থাপনার ফলাফল। আর সেইসাথে সরকার বিদ্যুৎ খাতে নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছে।
আজ রবিবার (৭ আগস্ট) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের সামনে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে হারিকেন মিছিল ও সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আলিফ দেওয়ান।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নিলু, মনির উদ্দিন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মোল্লা, সৈকত মল্লিক এবং ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড।
তিনি বলেন, তেলের দাম ৬ মাস আগে বৃদ্ধি পেলও আন্তর্জাতিক বাজারে যখন তেলের দাম আবার কমে আসছে সরকার তখন অস্বাভাবিকভাবে প্রায় ৫০ শতাংশ জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করলো। অথচ এই থাকে তারা এতদিন লাভ করেছে। সেই লভ্যাংশ সমন্বয় করলে এবং সরকার যে জ্বালানি তেলের ওপর কর নেয় তা আপাতত বন্ধ রাখলেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করার প্রয়োজন হয় না। এর আগে তারা সারের দাম বাড়িয়েছে। এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে দেশের কৃষি এবং উৎপাদন খাত ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠবে।
জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, আপনারা (আওয়ামী লীগ) রাজনৈতিক সংকটের জন্ম দিয়েছেন। এই দেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের যে বৈধ পথ মানুষের ভোটে সরকার গঠিত হবে। আমরা বলেছি সংকটের সমাধান করেন, আপনারা সে সংকটের সমাধান না করে- ডাণ্ডা দিয়ে গুম খুন করে সমস্ত রাষ্ট্রিয় প্রতিষ্ঠানকে পকেটে ঢুকিয়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য এবং ২০৪০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার বন্দোবস্ত করছেন; ফলাফল আমরা পরিষ্কার করে বলেছি এই রাজনৈতিক সংকট যদি টিকে থাকে লুটপাট বাড়বে দমন পীড়ন বাড়বে, সমাজে নৈরাজ্য হবে এবং সার্বভৌমত্ব হুমকির সম্মুখীন হবে।