এবার ‘উলঙ্গ করে ভিডিও’ ভাইরালের হুমকি দিলেন সেই ছাত্রলীগ নেত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২২, ১৪:২২

তামান্না জেসমিন রিভা। ছবি: সংগৃহীত
এবার ছাত্রীদের ‘উলঙ্গ করে ভিডিও’ ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সেই ছাত্রলীগ নেত্রী তামান্না জেসমিন রিভার বিরুদ্ধে।
এই ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিভার বিরুদ্ধে কলেজের এক ছাত্রীকে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) সাড়ে ৬ ঘণ্টা নিজের রুমে আটকে রেখে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ অস্বীকার করে রিভা দাবি করেছেন, তিনি উল্লিখিত সময়ে হলে উপস্থিতই ছিলেন না।
রিভা বলেন, একটা মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে সংবাদ করাতে চাইছে। আমি কাকে নাকি নির্যাতন করেছি- এমন বর্ণনা দিয়ে তারা এটা করাতে চাইছে। আমি সকাল থেকে ক্যাম্পাসের নিচে আমাদের প্রোগ্রাম নিয়ে সবার সাথেই ছিলাম। সন্ধ্যার পরে পার্টি অফিসে গেছি। তারা যে সময়ের কথা বলছে আমি সে সময়ে ছিলামই না।
এর আগে সম্প্রতি এই ছাত্রলীগ নেত্রীর একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়। যেখানে ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে না যাওয়ার কারণে কক্ষে রাজিয়া বেগম ছাত্রীনিবাসের ২০২ নম্বর রুমের কয়েকজন ছাত্রীকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিতে শোনা যায় তামান্নাকে।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সেই অডিওতে তামান্নাকে বলতে শোনা যায়, ‘বেশি চ্যাটাং চ্যাটাং করতেছিস। এক পায়ে পাড়া দিমু, আরেক পা টাইনা ধইরা ছিঁড়া ফেলমু। চার মাস হয়ে গেছে ফাইজলামি শুরু করছিস। তোরা লিগ্যাল তাতে আমার...। কোন হ্যাডাম দেখাইতেছিস তোরা? আমার পলিটিক্যাল রুমে তোরা লিগ্যাল থাকবি কি না, সেটা তোদের বিষয়। কে কে টাকা জমা দিছিস? আমারে দিছিস? বুঝিস না, পলিটিক্যাল রুমে থাকিস! তোদের লিগ্যাল করাইছে, তাতে আমার...? আমি যদি একটা সিট না দেই, ২০২ থেকে তোদের কোন বাপ সিট দেবে? ম্যাডামরা দেবে? ক্ষমতা আছে ম্যাডামদের?’
একপর্যায়ে এক ছাত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘ও তো অসুস্থ, বাসায় গেছে।’
উত্তরে তামান্না বলেন, ‘২০২-এ আর লিগ্যাল কে? তোরা লিগ্যাল, তাতে আমার কি…?আমি কি...তোদের? ম্যাডামদের ক্ষমতা আছে, আমাদের রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার? ইডেন কলেজের প্রিন্সিপালেরও ক্ষমতা নেই- এই রুম থেকে একটা মেয়েকে বের করার। রুমটা যেহেতু ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্ট নিয়ে নিছে, ইডেন কলেজের প্রেসিডেন্টের ওপরে আর কেউ নাই। একদম গলায় পাড়া দিয়ে ধরতে ইচ্ছা করতেছে।’
ভাইরাল হওয়ার পরই গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে তামান্না নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি স্বীকার করে ক্ষমা চান।