Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

গণআন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যেতে হবে: টিপু বিশ্বাস

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২২, ২৩:০১

গণআন্দোলনকে গণঅভ্যুত্থানের পথে নিয়ে যেতে হবে: টিপু বিশ্বাস

জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আলোচনা সভা। ছবি: সংগৃহীত

জনগণের গণআন্দোলনকে বিকশিত করতে হবে ও তাকে গণঅভ্যুত্থানের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণফ্রন্ট সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস।

আজ সোমবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ‘ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের পথ: নির্বাচন নয় গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক এই সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম। আর পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকার।

সভায় টিপু বিশ্বাস বলেন, পুরাতন কায়দায় জনগণকে শাসন করার ক্ষমতা এই শাসক শ্রেণী হারিয়েছে। হাসিনা সরকারের অধীনে তাই কোনো নির্বাচন জনগণ আর মেনে নেবে না। তত্বাবধায়ক বা তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচনেও জনগণের কোনো মৌলিক পরিবর্তন হবে না। জনগণের গণআন্দোলনকে তাই বিকশিত করতে হবে ও তাকে গণঅভ্যুত্থানের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

আলোচনা সভায় ফয়জুল হাকিম বলেন, চাল, ডাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও বিদ্যুৎ খাতে লাগামহীন দুর্নীতির কারণে সৃষ্ট অসহনীয় লোডশেডিং, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিসহ উৎপাদন খাতে সৃষ্ট সংকট, ইউরিয়া সারের মূল্যবৃদ্ধি, ৫৩টি অত্যাবশকীয় ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি, ব্যাপক কর্মসংস্থানহীনতার কারণে সৃষ্ট নৈরাজ্য প্রভৃতি যখন সমগ্র জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে চলেছে তখন জনগণ হাসিনা সরকারের ফ্যাসিবাদী শাসন ও নৈরাজ্যের অবসানে সংগ্রামে অংশ নিতে উন্মুখ হয়ে আছেন। এই সন্ধিক্ষণে জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার সংগ্রামে, ফ্যাসিবাদী শাসন অবসানে নেতৃত্ব দিতে বিপ্লবীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান বলেন, শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত জাতি ও জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ছাড়া ভিন্ন পথ নেই। জনগণের হাতে ক্ষমতা আনার পথ জনগণের সরকার সংবিধান রাষ্ট্র কায়েমের পথ। সংস্কার দিয়ে কোনো কাজ হবে না।

গণমুক্তি ইউনিয়ন আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন আহমেদ নাসু বলেন, অতীতে উপমহাদেশে ক্ষমতা দখলের সংগ্রামে  কমিউনিস্টরা গুরুত্ব দেয়নি।শ্রমিক কৃষক নিপীড়িত জাতি ও জনগণকে তাই ক্ষমতা দখলের রাজনৈতিক সংগ্রামে যুক্ত হতে হবে।

পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অমল ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে জমির ওপর জাতিসত্তার জনগণের বংশপরাম্পরাগত অধিকারের স্বীকৃতির দাবি তুলেন। তিনি বলেন, পাহাড় ও সমতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম হতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা প্রত্যাহারে সোচ্চার হতে হবে।

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজী ইকবাল বলেন, জনগণের শক্তির উপর দাঁড়িয়েই ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের সংগ্রাম পরিচালনা করতে হবে। সাম্রাজ্যবাদী ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ও নিয়ন্ত্রণ থেকে দেশকে মুক্ত করার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫