‘জামায়াত নয়, মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে বিডিপি গঠিত’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২২, ২০:৩৪

ইসির নিবন্ধন পেতে নির্বাচন ভবনে নবগঠিত রাজনৈতিক দল বিডিপির নেতারা। ছবি: সাম্প্রতিক দেশকাল।
জামায়াতের সঙ্গে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির (বিডিপি) কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন নবগঠিত দলটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম চান। বরং মুক্তিযুদ্ধের পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দলটি গঠন করা হয়েছে বলে দাবি তার।
আজ বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে, নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামীর মধ্যম সারির কয়েকজন নেতার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি বা বিডিপি। সম্প্রতি জামায়াতের উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠকে নতুন নামে দলের নিবন্ধনের জন্য আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া করা হয়। ওই বৈঠকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান ‘অপরিচিত কিছু নেতা’ বের করে নতুন দলের দায়িত্বে আনার জন্য নির্দেশনা দেন।
নিবন্ধনের আবেদন জমা দিতে এসে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন বিডিপির নেতারা। এই দলের প্রতিষ্ঠা কবে, জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক কী, দলের নেতাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী—সাংবাদিকদের এসব প্রশ্ন এড়িয়ে যান দলটির চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম (চান)। তিনি বারবার বলেন, তাদের দলটি সম্পূর্ণ নতুন দল। আরেকটু সংগঠিত হয়ে তারা এসব বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানাবেন।
সাংবাদিকরা বারবার প্রশ্ন করতে থাকলে একপর্যায়ে আনোয়ারুল ইসালম দাবি করেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, দেশের সংবিধান মেনে তারা রাজনীতিতে এসেছেন। দেশের সংবিধানের প্রতিটি শব্দ তারা সম্মান করেন এবং সেটা লালন করেই রাজনীতি করেন। সংবিধানের বাইরে কোনো কিছুতেই যেতে তাঁরা রাজি নন। মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্ম নেওয়া ব্যক্তিদের নিয়ে দল গঠন করা হয়েছে।
দলে যুদ্ধাপরাধী কেউ আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বিডিপির চেয়ারম্যান বলেন, যারা স্বাধীনতার পরে জন্মগ্রহণ করেছে, তাদের কেউ যুদ্ধাপরাধী বানালে বানাতে পারে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আনোয়ারুল ইসলাম জানান, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মিলিত হবেন, তখন বিস্তারিত বলবেন। তারা এখন নিবন্ধনের জন্য এসেছেন। নিবন্ধনের যতগুলো শর্ত, সব পূর্ণ করে আবেদন করেছেন। আশা করছেন ইসির নিবন্ধন পাবেন।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী দল জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এর পাঁচ বছর পর ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নিবন্ধন বাতিলের পর ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু আসনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন জামায়াতে ইসলামীর নেতারা।