
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। ছবি: ফাইল
শীর্ষ নেতৃত্বের মৃত্যু ও গ্রেপ্তারের পর চুপসে যাওয়া কওমিপন্থিদের সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ফের ‘গা ঝাড়া’ দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। যার অংশ হিসেবে সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি সম্প্রসারণ ও পুনর্গঠন করা হচ্ছে। এছাড়া আগামী ১৭ ডিসেম্বর সারাদেশের উলামা-মাশায়েখদের নিয়ে ঢাকায় সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে সংগঠনের এক সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে হেফাজতের সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইদ্রিছ জানান, আগামী ১৭ ডিসেম্বর ঢাকায় উলামা-মাশায়েখদের নিয়ে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে শুধু হেফাজত ইসলামের উলামা নয়, আমরা সার্বজনীনভাবে সর্বস্তরের উলামাদের নিয়ে সম্মেলন করব।
এছাড়া বৈঠকে কারাবন্দী হেফাজত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত করা সব মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমিরে হেফাজতের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে হয়।
এছাড়া বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর কমিটি সম্প্রসারণ এবং পুনর্বিন্যাস করা হয় এবং চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। মাওলানা তাজুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং মাওলানা মাওলানা লোকমান হাকিমকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটির ঘোষণা দেওয়া হয়।
বৈঠকে ব্যক্তি উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ের যে কোনো কাজে হেফাজতের পদ-পদবি ব্যবহার না করতে হেফাজতের আমির সংগঠনের সদস্যদের সতর্ক করেন। এছাড়া জেলা কমিটি গঠন করতে মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে ঢাকার শাপলা চত্বরে অবরোধ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে আলোচনায় আসে হেফাজতে ইসলাম। এর পর ২০২১ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের বিরোধিতা করে সহিংস আন্দোলনে নামে সংগঠনটি। তখন সরকার ও প্রশাসনের বাধার মুখে পড়ে তারা।
এরপর শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা ও তাদের গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে অনেকটাই কোনঠাসা হয়ে পড়ে হেফাজতে ইসলাম। তবে দেড় বছর ফের সরব হতে শুরু করেছে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। বিশেষত আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে সরকারের সাথে দেন-দরবার করতে চায় তারা।