
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ফাইল
আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘোষিত স্থানে অর্থ্যাৎ নয়াপল্টনেই অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ সোমবার (২১ নভেম্বর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, গত ১৫ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতির জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন দলটির নেতারা।
ওই সময়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কয়েকটি বিকল্প ভেন্যুর বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলেননি বিএনপি নেতারা। তবে বিকল্প হিসেবে আরো তিনটি স্থানের বিষয়ে পরিকল্পনা নেন দলের সিনিয়র নেতারা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মানিক মিয়া এভিনিউ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও আরামবাগ মোড় স্থানও পরিদর্শন করেন। তবে এখন পর্যন্ত বিকল্প ভেন্যুর তালিকা প্রশাসনের কাছে জমা দেয়নি বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের যদি নূন্যতম শুভবুদ্ধির উদয় হয়, তাহলে উচিত হবে- এই সমাবেশগুলোতে বাধা না দেওয়া। এটা করলে তারা নিজেদের হাস্যকর অবস্থায় নিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ নেতারা যখন বলেন, তারা বিএনপির সমাবেশের জন্য সুন্দর ব্যবস্থা করছেন, সহযোগিতা করছেন, তখন সাধারণ মানুষ হাসে। জনগণ প্রতিটি খবর রাখে। সরকার যা বলে সব বিশ্বাস করতে হবে- সেই দিন এখন আর নেই। এখন মানুষ মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সব খবর পেয়ে যান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৭টি সমাবেশে জনস্রোত দেখে সরকার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে গোটা দেশে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে। যেসব বিভাগে সমাবেশ হয়ে গেছে, সেখানে হয়রানি করছে, মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। বাকি তিনটি সমাবেশে যাতে লোকসমাগম না হয়, সে জন্য মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার মহাসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার কৌশল হিসেবে এখন মহানগরীতে বিএনপির নেতাকর্মীর বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালানো হচ্ছে। নেতারা কেউ বাসায় থাকতে পারছেন না।
জ্বালানি তেলসহ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে ভোলার আব্দুর রহিম, নূরে আলম, নারায়ণগঞ্জের শাওন প্রধান, মুন্সীগঞ্জের শহিদুল ইসলাম শাওনসহ অন্যান্য নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদে এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ১২ অক্টোবর থেকে বিভাগীয় গণসমাবেশ কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এর মধ্যে সাতটি বিভাগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। কুমিল্লা ও রাজশাহী বিভাগে সমাবেশের পর ঢাকায় মহাসমাবেশ করবে দলটি।