
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত
নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান চালানোর পর ওই এলাকা এক রকম রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করে দলের নেতাকর্মীরা বলেছেন, একদিকে দলের নেতাকর্মীদের কার্যালয়ে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি এবং নির্দিষ্ট এলাকা থেকে বের হতেও দেয়া হয়নি। অন্যদিকে তাদের উপর লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল গুলি, এফ১৬ অ্যাসল্ট রাইফেলের গুলি ছোড়া হয়েছে। এরমধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসসহ শতাধিক নেতাকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গেরে সাম্প্রতিক দেশকালের এই প্রতিবেদককে এসব কথা জানান দলের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতা ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ইতোমধ্যে কার্যালয়ের ভেতর থেকে পাঁচ থেকে সাতজনকে আটক করে নিয়ে গেছে পুলিশ।
তারা আরো বলেন, বিএনপি কার্যালয়ে পুলিশের একটি দল প্রবেশ করার পর কার্যালয়ের প্রধান গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সেসময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাধা দেয় পুলিশ। পরে তিনি সেখানেই অবস্থান নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
কতজনকে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাকে ঢুকতেই দিলো না শেষ পর্যন্ত। কতজনকে নিয়ে গেছে তারা জোর করে… আমি দেখেছি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে।’
আজ বেলা ৩টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনের মৃত্যুর কথা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে নিশ্চিত হওয়া গেছে।