পুলিশের বাধায় নয়াপল্টন থেকে ফিরে গেলেন ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:৫৯
-63917d4bea806.jpg)
নয়াপল্টনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: ফাইল
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যাওয়ার পথে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে আদালতে হাজিরা দিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে নয়াপল্টনের নাইটিংগেল মোড় দিয়ে বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি নিয়ে আসেন মির্জা ফখরুল।
তবে, পুলিশ তার গাড়িটি নাইটিংগেল মোড়ে যেতেই সেখানে আটকে দেয় এবং বিএনপি কার্যালয়ের দিকে যেতে বাধা দেয়।
এ সময় মির্জা ফখরুলকে উদ্দেশ্য করে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, ‘সরি স্যার, বিএনপি কার্যালয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই।’
যার উত্তরে পুলিশ সদস্যদের তিনি বলেন, আমি আমার কার্যালয়ে যেতে পারব না? এটা কেমন কথা?
কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে গণমাধ্যমকর্মীদের বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১০ তারিখের সমাবেশ নস্যাৎ করার জন্য এটা সরকারের হীন পরিকল্পনা ও চক্রান্ত। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য, মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক দল হিসেবে যদি আমি আমার নিজের অফিসে যেতে না পারি তাহলে কি করে রাজনৈতিক দলের নেতারা কাজ করবে। একটি রাজনৈতিক দলের সাংবিধানিক অধিকার হচ্ছে তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা।
তিনি বলেন, একটা গণতান্ত্রিক দলের মহাসচিব যদি তার রাজনৈতিক অফিসে যেতে না পারে তাহলে বুঝে নেন এদেশে কি গণতন্ত্র চলছে। এসময় অবিলম্বে দলীয় কার্যালয় খুলে দেয়ার দাবি জানান মির্জা ফখরুল। গ্রেপ্তারকৃত দলীয় নেতাদের মুক্তি দাবির পাশাপাশি ১০ তারিখের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিন সকালে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাশকতার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার দুই মামলায় হাজিরা দেন মির্জা ফখরুল। পরে কাকরাইল হয়ে পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করেন তিনি।
এর আগে, গতকাল বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় পুলিশ। এ ঘটনায় বিএনপির ১ জন নিহত এবং কয়েকশ আহত হয়েছেন।
এসময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি এবং খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আটক করা হয়। এই নেতারা ছাড়াও দলটির প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।