এবার ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে: আমীর খসরু

বরিশাল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:০৩

নগরীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে গণমিছিল। ছবি: বরিশাল প্রতিনিধি
এবার ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বরিশালে দলটির গণমিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আজ শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেলা ১২টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হল সংলগ্ন দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ গণমিছিল শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।
আমীর খসরু বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ভোট চুরির পায়তারা করে এখন পর্যন্ত ক্ষমতায় টিকে আছে। আর ভোট চুরি করতে দেয়া যাবে না। এবার ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরতে হবে। তারা যেন পালিয়ে যেতে না পারে। এই ভোট চোরদের হাতেনাতে ধরে বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচিত সংসদ আনতে হবে।
তিনি বলেন, এই দখলদার, ফ্যাসিস্ট, অবৈধ, অর্নিবাচিত সরকারের বিদায়ের জন্য বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার প্রতিফলন আজকে এই বরিশালে বিএনপির গণমিছিল প্রমাণ করেছে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, সমস্ত বাংলাদেশ আজ গণজোয়ারে জেগেছে। এই গণজোয়ারে এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় নিতে হবে। তারা ম্যাসেজ পেয়েছে দখলদার, ফ্যাসিস্ট, অবৈধ, অর্নিবাচিত, নির্যাতনকারী সরকারকে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের একটাই দাবি এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতারিত করা। মানুষ তার মালিকানা ফিরে পেতে চায়, তার ভোটাধিকার, আইনের শাসন, বাক-স্বাধীনতা, জীবনের নিরাপত্তা এবং ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেতে চায়।
আমীর খসরু বলেন, মানুষ এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। জীবন দিয়ে হলেও এবার তারা গণতন্ত্র রক্ষা করবে। যেই দেশের মানুষ জীবন দিতে প্রস্তুত হয় গণতন্ত্রের জন্য, অধিকারের জন্য তাদের কেউ থামাতে পারে না।
তিনি বলেন, এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হবে। তাদেরকে পদত্যাগ করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আমাদের সকলকে প্রস্তুত থাকতে হবে। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত এই আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। জীবনের বিনিময়ে যদি সেটা করতে হয় সেটাই আমাদের করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ইতোমধ্যে শত শত নেতাকর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আমাদের ১৩ জনকে হত্যা করেছে। হত্যার পর মানুষ আরো বেশি রাস্তায় নেমে এসেছে। সরকার দেশে একটি ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। কিন্তু মানুষ ভয়কে জয় করে ফেলেছে।
গণমিছিলের পূর্বে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুকের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলের মিডিয়াসেলের প্রধান জহির উদ্দিন স্বপন, কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আতন কুদ্দুসুর রহমান, মাহাবুবুল হক নান্নু, কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, এবায়দুল হক চান, আবু নাসের রহমত উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এ্যাডভোকেট আবুল কালাম শাহীন, কোতয়ালী বিএনপির আহ্বায়ক নুরুল আমিন, মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এ্যাডভোকেট আলী হায়দার বাবুলসহ সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ।
এর আগে, শনিবার সকাল থেকে গণমিছিল সফল করতে বরিশাল মহানগরী, জেলা ও উপজেলা থেকে মিছিল নিয়ে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন নেতাকর্মীরা। গণমিছিলকে কেন্দ্র করে নগরীর সদর রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়।