
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশযাত্রায় আদালতের অনুমতির দরকার নেই; বরং নির্বাহী আদেশেই তিনি বিদেশ যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। বুধবার (৫ মে) ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ কথা বলেন।
আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, কোনো প্রকার আবেদন ছাড়াই সরকার বেগম জিয়াকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রায় অনুমতি দিতে পারে। এখানে আদালতের কোনো ভূমিকা নেই।
তিনি বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি ৪০১ ধারা মোতাবেক শর্ত সাপেক্ষে বা শর্ত ছাড়া যেকোনো আসামির সাজা মওকুফ বা সাজা স্থগিত করতে পারে সরকার। খালেদা জিয়াকে যখন মুক্তি দেয়া হয়, তখন শর্ত দেয়া হয়েছিল তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না। এখন এ অবস্থায় সরকারের মানবিক দায়িত্ব, নৈতিক দায়িত্ব, দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বর্তমানে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়া উচিত।
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এ সভাপতি বলেন, ‘সাজা স্থগিত হয়েছিল প্রশাসনিক আদেশে। এখানে আদালতের কোনো ভূমিকা নেই। আশা করি, সরকার তার সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দেবে। এখানে আইনগত কোনো বাধা নেই।’
জিয়া অরফানেজ ও জিয়া ট্রাস্ট দুর্নীতির দুটি মামলায় ১৭ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত খালেদা জিয়াকে গত বছরের ২৫ মার্চ তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফায় সেই মেয়াদ আরও বাড়ানো হয়।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এ সময় তার বাসভবন ফিরোজায় আরও ৮ জন ব্যক্তিগত স্টাফ করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। ২৪ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় খালেদা জিয়ার করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তখন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, খুব লো টাইপের করোনা পজিটিভ এসেছে খালেদা জিয়ার।
এরপর শনিবার (১ মে) চিকিৎসকরা বলছিলেন, শুক্র ও শনিবার মে দিবসের সরকারি ছুটির কারণে এই দুদিন ঠিকমতো খালেদা জিয়ার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যায়নি। ফলে হাসপাতাল থেকে তার বাসায় ফিরতে কয়েকদিন সময় লাগবে।