রায়হান রনি।
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় একইসঙ্গে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলে পদ পাওয়া সেই রায়হান রনি অবশেষে উভয়দলের পদ হারালেন।
শনিবার (১৯ জুন) তাকে আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বহিষ্কার করা হয়েছে ছাত্রদল থেকেও। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়কও ছিলেন।
রায়হান রনি আলফাডাঙ্গা পৌরসভার আলফাডাঙ্গা মৌজার বাসিন্দা। পড়াশোনা করেন যশোর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে। তিনি আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ পেয়েছিলেন। পরে কীভাবে তিনি এক সঙ্গে দুই সংগঠনে- এ নিয়ে শুরু হয় জোর আলোচনা। তবে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই তাৎক্ষণিক তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয় দুই সংগঠন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তামজিদুল রশিদ চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক ফাহিম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলফাডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রায়হান রনিকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের কারণে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এদিকে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সৈয়দ আদনান হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক তানজিমুল হাসান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও নীতি–আদর্শ লঙ্ঘনের দায়ে রায়হান রনিকে ছাত্রদল আলফাডাঙ্গা পৌরসভা কমিটির প্রথম যুগ্ম আহবায়ক পদ থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে রায়হান রনি বলেন, আমি আজীবন ছাত্রলীগ করি। ছাত্রদল কোনো দিন করিনি। ছাত্রলীগের ও ছাত্রদলের রায়হান রনি একই ব্যক্তি নন। দু’জন আলাদা ব্যক্তি। তবে আলাদা ব্যক্তি ছাত্রদলের রায়হান রনি নামের কাউকে তিনি চেনেন না। বাড়ি কোথায় তাও জানেন না।
তিনি আরও বলেন, কোনো প্রকার তদন্ত না করে আর সত্যতা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যা আমার বিরুদ্ধে অন্যায় করা হয়েছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।