Logo
×

Follow Us

রাজনীতি

জিয়ার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর নজির নেই : শেখ হাসিনা

Icon

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২১, ১৪:১৬

জিয়ার পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর নজির নেই : শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন। ছবি : স্টার মেইল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী বিদেশি শক্তির মদদে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত এখনো অব্যাহত আছে। 

তিনি এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, এখনো যুদ্ধাপরাধী, পরাজিত শক্তি ও ১৫ আগস্টের খুনি, যাদের ফাঁসি হয়েছে তাদের ছেলে-পেলে, যুদ্ধাপরাধীদের দোসর ও বংশধর তারা কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। যে আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছিল তাদের কিছু কিছু এদের মদদ দিয়ে থাকে। কাজেই এ ব্যাপারে জাতিকে সতর্ক থাকতে হবে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে শোকের মাস আগস্টের শেষ দিনটিতে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাজধানীর খামারবাড়ির বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে (কেআইবি) অনুষ্ঠিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন।

সরকারপ্রধান বলেন, এই বাংলাদেশে ১৫ আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড ঘটে গেছে এবং এরপর ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, আমার জীবনের ওপর বহুবার হামলা, ’৭৪ সালে কামালের (শেখ কামাল) ওপর হামলা হলো, তাকেও গুলি করে হত্যার চেষ্টা হলো যখন দেখলো সে বেঁচে গেছে; তখন তার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হলো। অর্থাৎ পরাজিত শক্তি সবসময়ই এক্ষেত্রে সক্রিয় ছিল।

তিনি বলেন, আমাদের পায়ে পায়ে শত্রু আছে। আমাদের চলার পথ মসৃণ না, কন্টকাকীর্ণ; সে কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও সৎ পথে থাকলে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগুলে, সফলতা আসবেই। তবে সত্যের পথ সব সময় কঠিন থাকে। এই কঠিনকে সাথে করে যারা এগিয়ে যেতে পারে, তারাই সাফল্য আনতে পারে।

তিনি আরো বলেন, ‘জিয়াউর রহমানকে মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার করা হয়েছিল। কিন্তু সে কখনো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছে, এরকম কোনো নজির নাই। কেউ দেখাতেও পারবে না। কর্নেল রশিদ ও ফারুক বিবিসিতে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছে, সেখানে তারা স্বীকার করেছে, জিয়াউর রহমান এই খুনিদের সাথে ছিল।’

শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বদৌলতেই জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছিল। পাকিস্তান থাকলে সে কিন্তু মেজরই থেকে যেতো।

তিনি বলেন, মেধাবী ছাত্রদের অস্ত্র, মাদক ও অর্থ তুলে দিয়ে বিপথে নিয়ে গেছে জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে হুমকি দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে মোকাবিলা করতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। তিনিও ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।

বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্রদের ভূমিকা রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি অর্জন সেই মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন বা যেকোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সবসময় ছাত্ররাই করেছে। তারাই সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে।

জাতির পিতার অমোঘ বাণী ‘বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস’ উল্লেখ করে তিনি তা সবাইকে মনে রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, এ ধরনের বাধাবিঘ্ন আসতেই থাকবে। কিন্তু সৎ পথে থাকলে ও সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে যদি চলা যায় তাহলে যেকোনো কঠিন পথ পাড়ি দিয়েও অবশ্যই সাফল্য অর্জন করা যায়। তবে এটাও ঠিক সত্যের পথ সবসময় কঠিন হয়। আর সেই কঠিন পথকে যারা ভালবেসে গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে পারে তারাই সাফল্য আনতে পারে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলতে চাইলেও আজকে ৭ই মার্চের ভাষণ আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। তেমনি বঙ্গবন্ধুর নামও সারাবিশ্ব জানে। আর কারো পক্ষে এটা মুছে ফেলা সম্ভব না। সেটা সম্ভব হয়েছে কারণ, আমরা তার (জাতির পিতার) আদর্শ নিয়ে চলেছি, লক্ষ্য স্থির করে চলেছি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও ১৫ আগস্টের শহীদদের স্মরণে সকলে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে স্মৃতিচারণমূলক বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান।

ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের বাৎসরিক প্রকাশনা ‘জন্মভূমি’ এবং ‘জয় বাংলা- ম্যাগাজিনের (দ্বিতীয় সংস্করণ) মোড়ক উন্মোচন করেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫