গণফোরামের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একাংশের কাউন্সিল পণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২২, ১৫:৩৭

সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে
জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সময়ে গণফোরামের দুই পক্ষের কর্মসূচির মধ্যে সংঘর্ষের ফলে পণ্ড হয়েছে একাংশের কাউন্সিল। এতে সংসদ সদস্য মোকাব্বিরসহ প্রায় ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার (১২ মার্চ) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে কামাল হোসেন নেতৃত্বাধীন অংশের কাউন্সিল শুরু হয়।
অন্যদিকে মোস্তফা মহসিন মন্টু নেতৃত্বাধীন অংশের মানববন্ধনের কর্মসূচি ছিল প্রেস ক্লাবের সামনে।
দুপুরে মন্টু নেতৃত্বাধীন অংশের নেতা-কর্মীরা কামাল নেতৃত্বাধীন অংশের কাউন্সিলে ঢুকে পড়লে মারামারি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
কাউন্সিলে থাকা গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির খান অভিযোগ করেছেন, গণফোরাম থেকে বহিষ্কৃতরা পরিকল্পিতভাবে তাদের উপর হামলা চালায়।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গণফোরামের অপর অংশের নেতা মন্টু। তিনি বলেছেন, তার অনুসারী কেউ ওই কাউন্সিলে ঢোকেনি।
২০১৯ সালে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিলের পর দলটিতে কোন্দল চলছে। এক পর্যায়ে পাল্টাপাল্টি বহিষ্কারও চলে।
এখন কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একাংশ চলছে, যাতে নির্বাহী সভাপতি মোকাব্বির। অন্যদিকে মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুব্রত চৌধুরী, আবু সাইয়িদের নেতৃত্বে চলছে আরেক অংশ।
এর মধ্যেই কামাল নেতৃত্বাধীন অংশ কাউন্সিলের ঘোষণা দিয়ে শনিবার তা আয়োজন করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মন্টু নেতৃত্বাধীন অংশের নেতা-কর্মীরা প্রেস ক্লাবের বাইরে মানববন্ধনের পর স্লোগান দিতে দিতে মিলনায়তনে ঢুকে পড়ে। তারা মোকাব্বির খানকে ‘সরকারের দালাল’ আখ্যায়িত করে স্লোগান দেয়।
এরপর দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। মঞ্চ থেকে নেমে এসে থামাতে গেলে প্রতিপক্ষের ছোড়া চেয়ারের আঘাতে জখম হন মোকাব্বির।
পরে প্রেস ক্লাবে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার পরিদর্শক শেখ আবুল বাশার বলেন, গণফোরামের একটি অংশ প্রেস ক্লাবের অডিটরিয়ামে কাউন্সিল করতেছিল, আরেক অংশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে। কিছুক্ষণ পরে হট্টগোল দেখে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। সেখানে দুই পক্ষই উপস্থিত ছিল।
সংঘর্ষের পর প্রেস ক্লাব মিলনায়তন থেকে বের হয়ে মোকাব্বির সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাউন্সিল আয়োজন করেছি। এটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি। কিন্তু কিছু দুষ্কৃতকারী কাউন্সিলে হামলা করে আমাকেসহ আরো অনেককে আহত করেছে। এটা গণতন্ত্রের উপর হামলা। গণফোরাম থেকে বহিষ্কৃতরা এই হামলা চালিয়েছে।