তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন তৈমুর-মবিন

তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সমশের মবিন চৌধুরী ও চেয়ারপারসনের (খালেদা জিয়ার) উপদেষ্টা পরিষদের সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার। 

আগামীকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে নতুন এই দলটির প্রথম কাউন্সিলে যোগ দিতে যাচ্ছেন তারা। তাদেরকে তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ পদে পদায়ন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এছাড়া বিএনপি থেকে বিভিন্ন সময় বাদ পড়া এবং ক্ষোভ-অভিমানে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া অনেক নেতাও গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়া এই দলটিতে যোগ দিতে পারেন। এই তালিকায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুস সাত্তারও রয়েছেন। 

গণমাধ্যমকে এবিষয়টি নিশ্চিত করে তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা হুদা বলেন, সমশের মবিন চৌধুরী ও তৈমুর আলম খন্দকার আমাদের দলে যোগ দিচ্ছেন। তারা ভালো পদে থাকবেন। বিএনপিকে ভাঙার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই বলে জানান তিনি। 

এবিষয়ে তৈমুর আলম খন্দকার গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি তাকে গত দেড় বছর ধরে বহিষ্কার করে রেখেছে। তিনি তো আর দল ছাড়েননি। তিনি আওয়ামী লীগেও যাবেন না। যেহেতু বিএনপি তাকে বহিষ্কার করেছে, তাকে এখন তৃণমূল বিএনপিকে আঁকড়ে ধরে থাকতে হবে। তৃণমূল বিএনপির শীর্ষ পদে থাকবেন বলে আশা তার।

এক প্রশ্নের জবাবে তৈমুর বলেন, বিএনপির সাবেক নেতা সমশের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে, তিনিও তাদের সঙ্গে থাকছেন। তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেয়ার জন্য বিএনপির অনেক নেতা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে দাবি করেন তিনি।

২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন চার দলীয় জোট সরকারের সময়কার পররাষ্ট্রসচিব সমশের মবিন চৌধুরী। পরের বছর দলটির ভাইস চেয়ারম্যান হন তিনি। এরপর ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান।

পরে আবার ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিকল্পধারা বাংলাদেশে যোগ দেন সমশের মবিন চৌধুরী এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য হন। এখনও তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বিকল্পধারা থেকে পদত্যাগ করেননি বলে জানা যায়। অন্যদিকে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে নির্বাচন করায় সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তৈমুর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

উল্লেখ্য, তৃণমূল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হুদা। তিনি ১৯৯১ ও ২০০১ সালে দুই দফায় খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তবে ২০১২ সালে বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিএনএফ নামে নতুন দল গঠন করেন। পরে সেই দল থেকে তাকে বহিষ্কার করেন দলটির প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। এরপর বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স (বিএনএ) এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার পার্টি (বিএমপি) নামে দুইটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন নাজমুল হুদা। এরপর ‘তৃণমূল বিএনপি’ গঠন করেন তিনি।

সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //