বিএনপি-জামায়াতের ডাকা সারাদেশে তৃতীয় দফার সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির শেষ দিন আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর)। টানা ৪৮ ঘণ্টার এই অবরোধ গতকাল বুধবার ভোর থেকে শুরু হয়ে আগামীকাল শুক্রবার ভোর পর্যন্ত চলবে। অবরোধে রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং করেছে।
তৃতীয় দফা ৪৮ ঘন্টার সর্বাত্মক অবরোধ বুধবার দিন শেষে রাতে ঘণ্টার ব্যবধানে রাজধানীর চারটি স্থানে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার রাতেও রাজধানীর খিলগাঁও-মালিবাগ এলাকায় বাহন পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। দেশব্যাপী হরতাল ও অবরোধে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। সারাদেশে বিএনপি জামায়াতসহ বিরোধী দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে ফের টানা দু'দিনের অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও তাদের আমিরসহ গ্রেপ্তার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি, হয়রানি ও নির্যাতন বন্ধসহ এক দফার দাবিতে অবরোধের ডাক দেয়।
এরআগে ২৯ অক্টোবর হরতাল, ৩১ অক্টোবর, ১, ২ এবং ৫, ৬ এবং ৮ নভেম্বরে অবরোধ কর্মসূচির পালন করেছে বিএনপি ও জামায়াত। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ডাকা আগের হরতাল ও অবরোধে রাজধানী ঢাকায় কম পিকেটিং মিছিল হলেও রাস্তায় গণ পরিবহন চলেছে একবারে সীমিত আকারে। রাজধানীবাসী ব্যক্তিগত কাজে রিকশা, সিএনজি এবং প্রাইভেট কার নিয়ে চলছে। যা স্বাভাবিক দিনের তুলনায় অত্যন্ত নগণ্য। তবে ঢাকার বাইরে ব্যাপকভাবে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ সংঘাতে পণ্ড হওয়ার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল , যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বিরোধীদলের উল্লেখ যোগ্য নেতাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।
এদিকে, ২৮ অক্টোবর রাত ১০টার পর থেকে এখনো নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ, ওই দিনের সংঘাতের পর থেকে কোনো নেতাকর্মী বা অফিস সহকারীকে প্রবেশ করতে দেখা যায়নি। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া অবস্থান। কাঁটাতারে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2023 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh