
অবরোধ ঘিরে কড়া নিরাপত্তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। ফাইল ছবি
সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ-নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়, যা শেষ হবে আগামী শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টায়।
চতুর্থ দফা অবরোধের শেষ দিন গত সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী জানান, ১৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে ১৭ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বিএনপির এই নেতা জানান, দেশব্যাপী নির্বিচারে হত্যা, নির্যাতনের প্রতিবাদে, গ্রেপ্তার করা রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং এক দফা দাবিতে এই অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
গত ৩১ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে প্রথম দফায় সারা দেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি বিরোধী দল। তিন দিনের অবরোধের শেষ দিন ২ নভেম্বর বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ফের অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন। সেই ঘোষণা অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ শুরু হয়। এরপর তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ৮ নভেম্বর শুরু হয়ে ১০ নভেম্বর সকাল ৬টায় শেষ হয়। এরপর চতুর্থ দফার অবরোধ শুরু হয় ১২ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে, যা শেষ হয় মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায়।
পঞ্চম দফার অবরোধ বুধবার ভোর থেকে শুরু হলে রাতেই রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা । শাহাবাগ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে পথচারী জানালেও শাহবাগ জাতীয় জাদুঘর-সংলগ্ন ফুটওভারব্রিজের নিচ থেকে লাল স্কচটেপ মোড়ানো অবিস্ফোরিত ককটেল সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি-হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং চলমান এক দফা দাবিতে একই কর্মসূচিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বিএনপি এবং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো। এর আগে ২৯ অক্টোবর হরতাল, ৩১ অক্টোবর, ১, ২ এবং ৫, ৬ এবং ৮ , ৯ ও ১২ এবং ১৩ নভেম্বর চতুর্থ দফা অবরোধ কর্মসূচির পালন করেছে জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি।