
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
সরকার পতনের ‘এক দফা’ দাবিতে দেশের সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল ও সংগঠনকে নিয়ে ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাতে বিএনপির দলীয় প্যাডে নিজের স্বাক্ষরে এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দেন তিনি।
‘অবৈধ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের ন্যূনতম এক দফা’ দাবিতে সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান- শিরোনামে বিবৃতি এই ঐক্যের ডাক দিয়েছের ফখরুল।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, সময় ও যোগাযোগের প্রতিবন্ধকতার কারণে বিবৃতির মাধ্যমে সম্মতি প্রদান করা যেতে পারে। শিগগির সম্মতিপ্রাপ্ত সবার স্বাক্ষরে যৌথ বিবৃতি প্রদান করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্যের এই ঐতিহাসিক ঘোষণা ও দলিল দেশ এবং জাতির মুক্তি ত্বরান্বিত করবে ইনশা আল্লাহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জাতীয় বৃহত্তর স্বার্থে, লুণ্ঠিত গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার, অধিকারহীন জনগণের ও জাতির মুক্তির লক্ষ্যে আমরা ন্যূনতম এক দফার ভিত্তিতে এবং দাবিতে দেশের সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, ব্যক্তি ও শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি ‘জাতীয় ঐক্য’ গঠনের আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, আমরা বিএনপির নেতৃত্বে যুগপৎ আন্দোলনের সব শরিক দল ও জোট, বাম-ডান সব রাজনৈতিক দল, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য ধর্মভিত্তিক ও সব ইসলামি রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনের প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের জুলাই থেকে বিএনপি, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, গণঅধিকার পরিষদ, লিভারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, গণফোরাম, পিপলস পার্টি, লেবার পার্টি, এনডিএ, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ প্রভৃতি সংগঠন সরকার পতনের এক দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে।
এর আগে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারির পর থেকেই বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে সরকারে আসা আওয়ামী লীগের পতনে একাধিকবার ‘এক দফা’ আন্দোলনে নেমে খালি হাতে ঘরে ফিরেছে বিএনপি।