নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫৭ পিএম
আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৭ পিএম
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের দেশ সংস্কারের পর অযথা কাল বিলম্ব না করে যৌক্তিক সময়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি। তবে সুনির্দিষ্ট কোনো মেয়াদ নিয়ে আলোচনা হয়নি। প্রধান উপদেষ্টা একমত পোষণ করে বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের পর তারা নির্বাচনের দিকে চলে যেতে আগ্রহী এবং সে ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আজ শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মামুনুল হক।
তিনি বলেন, মূলত হেফাজতে ইসলামের সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, খেলাফত আন্দোলনসহ এখানে এসেছিলাম। আন্তরিক পরিবেশে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। ক্রান্তিকালে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য এবং আজকে আহ্বানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছি। প্রত্যেক দল নির্দিষ্ট সংস্কার প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছি।
মাওলানা মামুনুল হক বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের প্রস্তাব করেছি। নির্বাচন কমিশন সংস্কারসহ যাবতীয় বৈষম্যমূলক এবং দলীয় ব্যবস্থাপনা ঢেলে সাজিয়ে নতুন করে যেন একটি নিরপেক্ষ অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা যেন করা যায়, তার জন্য আমূল পরিবর্তন ও সংস্কার প্রস্তাব এনেছি। সারা দেশব্যাপী সকল ভোটাধিকার প্রয়োগকারীদের প্রতিনিধিত্ব যেন জাতীয় সংসদে যেন নিশ্চিত করা যায়, তেমন মৌলিক পরিবর্তনের প্রস্তাবনা দিয়েছি।
বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থায় দেখা যায় সর্বোচ্চ ৩০-৩৫ শতাংশ ভোটারের প্রতিনিধিত্ব জাতীয় সংসদে থাকে। এ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন এনে যেন এমন ব্যবস্থা করা হয় যাতে ম্যাক্সিমাম ভোটারের প্রতিনিধিত্ব জাতীয় সংসদে নিশ্চিত করা যায়।
এছাড়াও বিচার বিভাগ, শিক্ষা বিভাগ, প্রশাসনে আমূল পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকেন্দ্রিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার যে আয়োজন সেখান থেকেই স্বৈরতন্ত্রের উদ্ভব; এই জায়গায় যেন ভারসাম্য আনা হয়। সংবিধানে আল্লাহর ওপর অবিচল আস্থা এবং বিশ্বাসের যে ধারাটি ছিল সেটি বাতিল করা হয়েছে। এটিকে যেন পুনর্বহাল করা হয়।
তিনি আরো বলেন, কোনো ব্যক্তি যেনো দুইবারের বেশি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে না পারে সে বিষয়ে কথা বলেছি। এছাড়া হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন আন্দোলনে বহু মামলা হয়েছে, হতাহত হয়েছে, অনেকের খোঁজ নেই। এই ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়েছি। সব শহীদদের এবং নিখোঁজ মানুষদের প্রতিবেদন যেন হয়। সব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে, এক্ষেত্রে প্রয়োজনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের কথা বলা হয়েছে।
ইসলামবিরোধী কোনো নীতি ও আইন যেন প্রণয়ন করা না হয়। হেফাজতে ইসলামের বিরুদ্ধে সব মামলা যেন অতিদ্রুত নির্বাহী আদেশ ও আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা যেন হয়। এজন্য একমাসের সময়সীমার কথা বলেছি। রাষ্ট্র পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তারা আহ্বানে সাড়া দেয়ার কথা বলেছি।
সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন
© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh