কারখানায় আগুনে দগ্ধ সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৫ পিএম | আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৯, ০৩:৪১ পিএম

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কেরানীগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া এলাকায় প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ ৩২ জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিদগ্ধদের অবস্থা পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের একথা জানান।

তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ৩২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ১০ জনের শরীরের প্রায় ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ২০ থেকে ২২ জনের ৫০ শতাংশ পুড়েছে। বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক, নার্স ও ওষুধের কোনো কমতি নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তাদের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসার সব খরচ সরকার বহন করবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে ঢামেকের বার্ন ইউনিট থেকে ১১ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়েছে। দরকার হলে আরও রোগী সেখানে স্থানান্তর করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। রাস্তা প্রশস্ত না হওয়ায় তাদের ঘটনাস্থলে পৌঁছতে সময় লেগেছে। এ কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষতির পরিমাণটা বেড়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহেদ মালেক বলেন, রোগীদের ক্ষতিপূরণ কারখানার মালিকদের দিতে বাধ্য করা হবে। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন শ্রমিকে সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হঠাৎ করে বিকট শব্দে আগুন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। মালিকের গাফিলতির কারণেই কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। তাই মালিকপক্ষই ক্ষতিপূরণ দেবে। এই ক্ষতিপূরণ আদায়ে কাজ করবে সরকার। রাষ্ট্র দগ্ধদের চিকিৎসা দিচ্ছে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- ইমরান, বাবুল, রায়হান, খালেক, সালাউদ্দিন, সুজন, জিনারুল ইসলাম, আলম, জাকির হোসেন, ফয়সাল ও জাহাঙ্গীর।

গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চুনখুটিয়া এলাকার প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। 

আরো পড়ুন: 

কেরানীগঞ্জে কারখানায় আগুনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

Design & Developed By Root Soft Bangladesh