
তায়াম্মুম। ছবি: সংগৃহীত
তায়াম্মুম ঈমানদার ব্যক্তিদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেকে আছে শীতে পানি দিয়ে ওযু করলে সমস্যা হয়। তাদের জন্য ওযু করে নামাজ আদায় করতে সমস্যা হয়। তারা ওযু না করে তায়াম্মুম করেও ইবাদত করতে পারে।
আল্লাহ তাআলা তার বান্দাদের সুবিধার্থে নিজেই তায়াম্মুমের বিধান করে দিয়েছেন।
তায়াম্মুম দ্বারা নামাজ পড়া যাবে, কোরআন তেলাওয়াত করা যাবে, কাবা শরিফ তাওয়াফ করাসহ ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত এবং নফল; সব ধরনের ইবাদত করা যাবে।
এ ছাড়াও যেসব ইবাদতে অজু বা পবিত্রতা অপরিহার্য নয়, সেসব ক্ষেত্রে সমস্যা ছাড়াও তায়াম্মুম করা যাবে। যেমন সব সময় পবিত্র থাকা, পবিত্রতার সাথে ঘুমানো ইত্যাদি।
এ প্রসঙ্গে কোরআনের নির্দেশ হলো-
فَتَیَمَّمُوۡا صَعِیۡدًا طَیِّبًا فَامۡسَحُوۡا بِوُجُوۡهِکُمۡ وَ اَیۡدِیۡکُمۡ مِّنۡهُ ؕ مَا یُرِیۡدُ اللّٰهُ لِیَجۡعَلَ عَلَیۡکُمۡ مِّنۡ حَرَجٍ وَّ لٰکِنۡ یُّرِیۡدُ لِیُطَهِّرَکُمۡ
‘তবে পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম কর। সুতরাং তোমাদের মুখ ও হাত তা দ্বারা মাসেহ কর। আল্লাহ তোমাদের উপর কোনো সমস্যা সৃষ্টি করতে চান না বরং তিনি চান তোমাদের পবিত্র করতে।’ (সুরা মায়েদা: আয়াত ৬)
তায়াম্মুমের ফরজ ৩টি
১. পবিত্রতা অর্জনের নিয়ত বা ইচ্ছা করা।
২. উভয় হাত মাটিতে মেরে তা দিয়ে পুরো মুখমণ্ডল একবার মাসেহ করা।
৩. উভয় হাত মাটিতে মেরে উভয় হাত কনুইসহ একবার মাসেহ করা।
তায়াম্মুম ভাঙার কারণ
প্রতি ওয়াক্তের জন্য আলাদা আলাদা তায়াম্মুম করতে হবে। যেসব কারণে অজু ভেঙে যায় এবং গোসল ওয়াজিব হয়; সেসব কারণে তায়াম্মুম ভাঙবে। এ ছাড়া পানি পাওয়া গেলে বা পানি ব্যবহারে সক্ষমতা এলে তায়াম্মুম ছুটে যাবে।