
নামাজ। প্রতীকী ছবি
প্রত্যেক মুসলমানদের জন্য নামাজ পড়া ফরজ। নামাজে গাফিলতি সুযোগ নেই কোনো মুসলিমদের। নামাজ এটি মুসলিম ও অমুসলিমের মাঝে স্পষ্ট পার্থক্য তৈরি করে। নামাজ কবুল হওয়ার জন্য পোশাক ভাল ও পবিত্র হওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
নামাজের সময় বেগানা (পর) পুরুষের দৃষ্টির বাইরে শুধু হাত ও মুখ খোলা রেখে পুরো শরীর ঢেকে রাখা। আর যদি বেগানা (পর) পুরুষ থাকে তবে নামাজের সময় মুখসহ ঢেকে নামাজ পড়া। নারীদের জন্য পরপুরুষের দৃষ্টির বাইরে নামাজ পড়া আবশ্যক। আর নামাজের সময় কেউ দেখুক কিংবা না দেখুক; আলো কিংবা অন্ধকারে, যেখানে- যেভাবেই নামাজ পড়ুক।
কোরআনের আলাকে নামাজে নারীদের পোশাক আলেমদের স্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে বনী-আদম! তোমরা প্রত্যেকে নামাজের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও।' -(সূরা আ’রাফ ৩১)
প্রত্যেকের নারী পুরুষের নামাজের সময় তাদের পোশাকে পার্থক্য রয়েছে। নামাজের বাইরেও নারী-পুরুষের পোশাকে স্পষ্ট পার্থক্য বিদ্যমান।
হাদিসে এসেছে-
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘কোনো সাবালিকা মেয়ের মাথায় চাদর ছাড়া তার নামাজই কবুল হয় না।’ (সুনান আবু দাউদ, হাদিস : ৬৪১)
‘নারীদের লেবাসে চুল, পেট, পিঠ, হাতের কব্জির উপরি ভাগের অঙ্গ (কনুই, বাহু প্রভৃতি) কাপড়ে ঢাকা থাকতে হবে। তা বের হয়ে থাকলে নামাজ হবে না। শুধু চেহারা ও কব্জি পর্যন্তহাত উন্মুক্ত থাকবে। নারীদের নামাজে পায়ের পাতাও ঢেকে নেওয়া জরুরি।’ (মাজাল্লাতুল বুহুসিল ইসলামিয়াহ, ফাতোয়ায়ে ইসলামিয়াহ; সৌদি উলামা কমিটি)
‘নারীদের নামাজ পড়ার স্থানে যদি বেগানা (পর) পুরুষ থাকে তবে অবশ্যই চেহারাও ঢেকে নিতে হবে।’
‘ঘর অন্ধকার হলেও বা একা থাকলেও নামাজ পড়ার সময় যদি ফরজ সতর (ঢেকে রাখা আবশ্যক অঙ্গ থেকে কাপড়) সরে যায় বা কোনো অঙ্গ প্রকাশ পেয়ে যায় তবে নারীদের নামাজ বাতিল হয়ে যাবে। এই নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।’ (ফতোয়ায়ে ইসলামিয়াহ; সৌদি উলামা কমিটি)