
রাগ। প্রতীকী ছবি
রাগ মানুষের পরম শত্রু। রাগ করে অনেকে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়, অন্যের ক্ষতি করে। রাগের বশবর্তী হয়ে কারো ক্ষতি করা মোটেও উচিত নয়। কঠিন রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘সে ব্যক্তি শক্তিশালী নয়, যে ব্যক্তি কুস্তি লড়ে অন্যকে ধরাশায়ী করে, বরং প্রকৃতপক্ষে সে ব্যক্তিই শক্তিশালী, যে রাগের সময় নিজেকে সংবরণ করতে পারে।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৮০৯)
এ কারণে রাসুল (সা.) তাঁর প্রিয় উম্মতদের রাগ করতে নিষেধ করেছেন। কখনো কখনো মানসিক কারণে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। এ পরিস্থিতি থেকে বাঁচার জন্য নিম্নের আমলগুলো করা যেতে পারে।
১. রাগ সংযত করতে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে।
২. রাগ করলে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার চেষ্টা না করে চুপ থাকতে হবে। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘তোমরা শিক্ষা দাও এবং সহজ করো। কঠিন কোরো না। যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো; যখন তুমি রাগান্বিত হও তখন চুপ থাকো।’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৭৮৬)
৩. অতিরক্ত রাগ হলে শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কারো রাগ হয় তখন সে যদি দাঁড়ানো থাকে, তবে যেন বসে পড়ে। যদি তাতে রাগ চলে যায় ভালো। আর যদি না যায়, তবে শুয়ে পড়বে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৪)
৪. রাগ দূর করার জন্য অজু করা যেতে পারে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘নিশ্চয়ই রাগ শয়তানের পক্ষ থেকে। আর শয়তান আগুনের তৈরি। নিশ্চয়ই পানির দ্বারা আগুন নির্বাপিত হয়। সুতরাং তোমাদের কেউ যখন রাগান্বিত হয় সে যেন অজু করে।’ (আবু দাউদ, হাদিস: ৪৭৮৬)