
শাবান মাস। ছবি: সংগৃহীত
মুমিন মুসলমানের জন্য শাবান মাসের রোজা পালনের আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। নফল রোজার জন্য শ্রেষ্ঠ ও গুরুত্বপূর্ণ মাস শাবান। হযরত মুহাম্মদ স. এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। তাই এ মাসে রোজা পালনে একাধিক সুন্নত আদায় হয়।
হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, ‘আমি রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কখনো রমজান ছাড়া পুরো মাস রোজা রাখতে দেখিনি; আর শাবান মাসের মতো অন্য কোনো মাসে অধিক (নফল) রোজা রাখতেও দেখিনি।’ (বুখারি ও মুসলিম)
এ হাদিস থেকে প্রতিয়মান হয় যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আদর্শ ও সুন্নাহ হলো এ মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। এটি বাস্তবায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ আমলের অন্তর্ভূক্ত।
শাবান মাসে যেসব দিন রোজা রাখা সুন্নাত:
সাপ্তাহিক রোজা: ৯ দিন
ফেব্রুয়ারি : ২৩ (বৃহস্পতিবার), ২৭ (সোমবার)।
মার্চ : ০২ (বৃহস্পতিবার), ০৬ (সোমবার), ০৯ (বৃহস্পতিবা), ১৩ তারিখ (সোমবার), ১৬ তারিখ (বৃহস্পতিবার), ২০ তারিখ (সোমবার) এবং ২৩ তারিখ (বৃহস্পতিবার)।
মাসিক রোজা : ৩ দিন
১৩, ১৪ ও ১৫ শাবান তথা ৬, ৭ ও ৮ মার্চ (সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার)।
তাছাড়া প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রজব মাস থেকেই আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা শুরু করতেন।
শাবান মাস বেশি বেশি রোজা রাখার পাশাপাশি আল্লাহ তাআলা কাছে রমজান পেতে সবচেয়ে বেশি দোয়া করে বলতেন-
اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ شَعْبَانَ وَ بَلِّغْنَا رَمَضَانَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদেরকে রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, শাবান মাসজুড়ে সপ্তাহিক ও মাসিক সুন্নাতি আমল রোজা পালনের মাধ্যমে একসঙ্গে একাধিক সুন্নাতের ওপর আমল করা। রমজান পেতে বেশি বেশি দোয়া করা।