
সুগন্ধি। প্রতীকী ছবি
পৃথিবীতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় বস্তুগুলোর একটি সুগন্ধি। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, মহানবী (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের দুনিয়া থেকে আমার কাছে তিনটি জিনিস অধিক প্রিয়। নারী, সুগন্ধি আর আমার চক্ষু শীতল হয় নামাজের মাধ্যমে’ (নাসায়ি, হাদিস: ৩৯৩৯)।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সুগন্ধি ব্যবহার করতেন এবং কেউ সুগন্ধি হাদিয়া দিলে তা গ্রহণ করতেন, কখনো ফেরত দিতেন না।
অনেকে সুগন্ধি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। মুসলমানরা নবীর সুন্নত আদায়ে সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকে। তবে রোজা রেখে সুগন্ধি ব্যবহার করতে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগে। যদি সুগন্ধি ব্যবহারে রোজা ভেঙে যায়। তবে জানেন কি সুগন্ধি ব্যবহারে রোজা ভাঙে না।
রোজা ভেঙে যাওয়ার বিভিন্ন কারণ আছে। পেটে বা মস্তিষ্কে যে কোনো বস্তু প্রবেশ করলে রোজা ভঙ্গ হয়। আতর বা পারফিউমের ঘ্রাণ নেয়ার কারণে সরাসরি তা শরীরে প্রবেশ করে না। তাই রোজা রেখে আতর, সুগন্ধি ও পারফিউম ব্যবহার করলে রোজা ভাঙবে না। বরং মহানবী সা: হাদিস শরিফে রোজাদারকে সুগন্ধি দিয়ে মেহমানদারীর কথা বলেছেন।
হজরত আবু আইয়ুব আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘চারটি বস্তু সব নবীর সুন্নত-আতর, বিয়ে, মিসওয়াক ও লজ্জাস্থান ঢেকে রাখা’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২২৪৭৮)।
ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা (আরব বিশ্বের সর্বোচ্চ ফতোয়া কমিটির ফতওয়াসমগ্র)-তে এসেছে,
من تطيب بأي نوع من أنواع الطيب في نهار رمضان وهو صائم لم يفسد صومه ، لكنه لا يستنشق البخور والطيب المسحوق كمسحوق المسك
যে ব্যক্তি রমজানের দিনের বেলায় রোজা অবস্থায় কোনো প্রকারের সুগন্ধি ব্যবহার করেছে তার রোজা নষ্ট হয়নি। তবে উদ্ভিদজাতীয় বস্তু থেকে ঘ্রাণ শোঁকা ও গুঁড়ো সুগন্ধি যেমন গুঁড়ো মিশক থেকে ঘ্রাণ নিবে না। (কেননা এগুলো পেটে ঢুকে যাওয়ার আশংকা থাকে।) (ফাতাওয়া লাজনাতিদ্দায়িমা ১০/২৭১)