
প্রতীকী ছবি
রমজান মাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ইতিকাফ। রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ পালন করা হয়। ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করা। আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় যতো গভীর হবে, সম্পর্ক ও ভালোবাসা ততো নিবিড় হবে এবং তা বান্দাকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।
ইতিকাফের অন্যতম শর্ত হলো, পুরো সময় মসজিদে অবস্থান করা। প্রাকৃতিক প্রয়োজন এবং একেবারে বিশেষ কাজ ছাড়া মসজিদ থেকে বের হলে ইতিকাফ ভেঙে যায়, বিনা প্রয়োজনে ইতিকাফ ভেঙে ফেলা নিন্দনীয় কাজ। তবে কিছু কিছু কারণে ইতিকাফ ভেঙে ফেলা ওয়াজিব (জরুরি) হয়ে পড়ে, তখন ইতিকাফ না ভাঙলে উল্টো গুনাহগার হতে হয়। যেমন:
- কেউ পানিতে ডুবে যেতে নিলে বা কাউকে আগুনে পুড়ে যেতে দেখলে, তাকে উদ্ধার করার মতো কেউ না থাকলে ইতিকাফ ভেঙে ফেলে ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করা আবশ্যক।
- দেশ রক্ষার জন্য ইতিকাফ ভাঙা যাবে।
- মৃত ব্যক্তির জানাজা উপস্থিত হলে এবং জানাজা পড়ানোর মতো কেউ না থাকলে ইতিকাফ ভাঙা যাবে।
- আদালতে সাক্ষ্য দেওয়া আবশ্যক হলে।
- ভূমিকম্প বা অন্য কোনও কারণে মসজিদ ভেঙে যেতে শুরু হলে এবং মসজিদ থেকে বের না হলে দেয়ালের নিচে চাপা পড়ার আশঙ্কা থাকলে ইতিকাফ ভেঙে ফেলা যাবে।
- প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে গেলে এবং ডাক্তার না দেখালে যদি প্রাণনাশের আশঙ্কা থাকে তাহলে ইতিকাফ ভেঙে ফেলা যাবে।
- নিজ পরিবারের কেউ অসুস্থ হওয়ার পর ডাক্তার দেখানোর মত কেউ না থাকলে।
- ইতিকাফকারীর অনুপস্থিতিতে ঘরের মালামাল চুরি বা লুণ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হলে ইতিকাফ ভেঙে ফেলা জরুরি।
কেউ ইতিকাফে বসার পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হলে ইতিকাফ ভেঙে ফেলতে হবে এবং পরবর্তীতে উপযুক্ত সময় দেখে কাজা করে নিতে হবে। (ফাতাওয়া শামি-৩/৪৩৭-৪৩৯.ফাতাওয়া আলমগিরি-১/২১২)