
কাবা শরীফ। ফাইল ছবি
চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২০ মে দিবাগত রাতে। নতুন করে হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে না। কোটা খালি রেখেই শুরু হবে হজ ফ্লাইট। এমনটিই জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজের খরচ কমানোর সুযোগ নেই। কোটা খালি রেখেই হজ ফ্লাইট শুরু হবে।
আজ বুধবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে ‘ই-হজ মোবাইল অ্যাপ’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) ছিলো হজ নিবন্ধনের বিশেষ দিন। এরপরও কোটা পূরণ হয়নি। এবার প্রায় ৩ হাজার কোটা খালি রেখেই হজ ফ্লাইট শুরু হতে যাচ্ছে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে ২৭ জুন সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন ও ফ্লাইনাস হজযাত্রী পরিবহণ করবে। হজ ফ্লাইট নিরবচ্ছিন্ন রাখতে রাজধানীর আশকোনায় হজ অফিসে হজ কন্ট্রোল রুম, হেল্প ডেস্ক চালু করতে নির্দেশ দিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।
নিবন্ধিত হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদন শুরু হয়েছে ১৬ এপ্রিল। ভিসার আবেদন করা যাবে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা সব জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন কার্যালয়, ঢাকায় অবস্থিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, ঢাকায় ওয়াক্ফ প্রশাসকের কার্যালয় এবং হজ অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা যেখানে বায়োমেট্রিক ভিসার জন্য আবেদন করবেন, সেখানে তাদের পাসপোর্ট জমা দেবেন এবং রশিদ গ্রহণ করবেন।
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীরা নিজ নিজ এজেন্সির মাধ্যমে এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) অফিসে বায়োমেট্রিক ভিসার আবেদন করতে পারবেন। বায়োমেট্রিক ভিসা আবেদনের পর পাসপোর্ট নিজ নিজ এজেন্সির কাছে জমা দিয়ে রশিদ নেবেন।
চলতি মৌসুমে হজ নিবন্ধনের জন্য দফায় দফায় আটবার বাড়ানো হয়েছে। তারপরও হজযাত্রীদের প্রত্যাশিত সাড়া মেলেনি। ফলে নির্ধারিত আসন পূর্ণ না হওয়ায় বিশেষ একদিন সুযোগ ঘোষণা করে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেজন্য মঙ্গলবার হজের নিবন্ধনের সার্ভার খুলে দেওয়া হয়। এই একদিনে সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছে মাত্র ৪০ জন আর বেসরকারিভাবে করেছে ৭৫৭ হজযাত্রী।