
প্রতীকী ছবি
শাওয়ালের ৬ রোজার ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রমজান মাসে রোজা রাখল অতঃপর এ রোজার পর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল।’ (সহিহ মুসলিম, ১১৬৪)
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : রাসুলুল্লাহ সা: প্রতি মাসে কয়েক দিন রোজা রাখতেন এবং সাহাবায়ে কেরামকেও রা: উদ্বুদ্ধ করতেন। তবে তিনি রমজানের পরের মাস শাওয়ালে ছয়টি রোজা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যে ব্যক্তি রমজানের রোজা যথাযথভাবে রাখে এবং শাওয়াল মাসে ধারাবাহিক বা বিচ্ছিন্নভাবে ছয় রোজা রাখে, সে পূর্ণ বছর রোজা রাখার সওয়াব পাবে। মুহাদ্দিসরা পুরো বছরের ব্যাখ্যা এভাবে করেন, রমজানের ৩০ রোজার সওয়াব ১০ গুণ বৃদ্ধি পেলে তা ১০ মাসের সমান হয় এবং ছয় রোজার সওয়াব ১০ গুণ বৃদ্ধি করলে তা দুই মাসের সমান হয়। এভাবে ১২ মাসের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।
শাওয়ালের এই ৬ রোজা পালন করা মুস্তাহাব। কারো যদি রমজানের রোজার কাজা থাকে (অসুস্থতা কিংবা নারীদের হায়েজ-নেফাসের কারণে) তাদের জন্য নিয়ম ও করণীয় হলো—‘শাওয়াল মাসে তারা কাজা রোজাগুলো আগে পূর্ণ করে নেবে। তারপর তারা শাওয়ালের ৬ রোজা পালন করবে। কেননা ‘..যার ওপর কাজা রয়ে গেছে সে রোজা পূর্ণ করেছে বলে গণ্য হবে না যতক্ষণ ওই রোজাগুলোর কাজা আদায় না করে।’ (আল মুগনি: ৪৪০)
সুতরাং আগে রমজানের রোজা পূর্ণ করবে, তারপর শাওয়ালের ৬ রোজা রাখবে। তবেই সারাবছর রোজা রাখার সওয়াব মিলবে।
আলেমদের মতে, রমজানের ছুটে যাওয়া রোজার কাজা আদায় করা ফরজ। কারণ, রমজানের রোজা ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি আর শাওয়ালের ৬ রোজা নফল ইবাদতের অন্তর্ভূক্ত। তাই এই ইবাদতের আগে ফরজ ইবাদত পালনপ্রাধান্য পাবে এবং ফরজের দায়িত্ব থেকে মুক্ত হওয়াকে অন্য মুস্তাহাব আমলের উপর অগ্রাধিকার দিতে হবে। (ফতোয়া সমগ্র ১৯/২০)