মীনায় হাজীদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে দেয়নি মোয়াল্লেমরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৪, ১৫:২২

লক্ষ লক্ষ হাজীদের উপস্থিতিতে সরব হয়ে উঠেছে মীনা। ফাইল ছবি
হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) থেকে। রাসুলুল্লাহ (সা.) ৮ জিলহজ মীনায় জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এবং ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে আরাফায় এসেছিলেন। এটাই হচ্ছে নবী (সা.) এর সুন্নত। কিন্তু এবার হজ এজেন্সি ও সৌদি আরবের মোয়াল্লেমরা মিলে মিনায় হাজীদের ফজরের নামাজ আদায় করতে দেয়নি।
গতকাল শুক্রবার (১৪ জুন) রাত ১০টার পর মিনা থেকে হাজীদের আরাফায় নিয়ে যাওয়া শুরু করে। মিনায় ৯ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করলে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা হয়। আর এটা হচ্ছে নবী (সা.) এর সুন্নত। এবার হাজীদের এই সুন্নত আদায় করার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
হজের সময় হাজীরা হজ এজেন্সি ও সৌদি আরবের মোয়াল্লেমদের কথার বাইরে কিছুই করতে পারেন না। হাজীরা তাদের কথা শুনতে বাধ্য। কিন্তু মুমিনের আবেগ-ভালোবাসার মূল্য বোঝেনি হজ এজেন্সি ও সৌদি আরবের মোয়াল্লেমরা। হাজীরা ব্যাথিত হয়েছেন। তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তারা নিজেরাই নিজেদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করেন, তারা যেন সবর করতে পারেন। সেই সঙ্গে হজের বাকি আমলগুলো যেন পরিপূর্ণভাবে আদায় করতে পারেন।
এ বছর হজ এজেন্সি ও সৌদি আরবের মোয়াল্লেমরা হাজীদের মীনায় ফজর নামাজ আদায় করতে দেয়নি। এশার নামাজের পরই মিনা ত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে তাদেরকে। এই বিষয়ে কয়েকজনের সাথে কথা বলেও হাজিদের সঙ্গে কেন এমন করা হয়েছে সেই বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি।
হাজীরা আরাফায় অবস্থান করছেন। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানেই অবস্থান করবেন সারা বিশ্ব থেকে জড়ো হওয়া ১৫ লাখের বেশি মুসল্লি। আরাফার ময়দানে অবস্থান করাই হচ্ছে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা।
আরাফার ময়দানে লাখো মুসল্লির কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’ অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার।