
যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ উদযাপিত হবে।
ত্যাগের মহিমা নিয়ে হাজির ১০ জিলহজ। আজ মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাজধানীসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ উদযাপন করবে। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় সোমবার (১৭ জুন) ঈদের জামাত শেষে সামর্থ্যবান মুসলমানরা পরিশুদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কোরবানি করবেন এদিন। কোরবানির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পণই ঈদুল আযহার মূল মর্মবাণী।
নামাজ শেষে মুসল্লিদের অনেকেই যাবেন কবরস্থানে। চির বিদায় নেয়া স্বজনদের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে অশ্রুসজল চোখে এই আনন্দের দিনে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে আকুতি জানাবেন।
ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীসহ বিশ্বের সকল মুসলমানদের আন্তরিক অভিনন্দন ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন।
‘পবিত্র ঈদুল আযহা’ উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘পবিত্র ঈদুল আযহা সবার জন্য বয়ে আনুক কল্যাণ, সবার মধ্যে জেগে উঠুক ত্যাগের আদর্শ। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে।’
ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি, ঈদ ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের জীবনে সুখ ও আনন্দের বার্তা বয়ে আনবে। আসুন আমরা সকলে পবিত্র ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশগ্রহণ করি এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আজীবন স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, উন্নত-সমৃদ্ধ আধুনিক স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি।
উল্লেখ্য, এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৭টায়। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন প্রধান ঈদ জামাতে অংশ নেন। প্রধান জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন। জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করার জন্য ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় মিরপুর গোলারটেক মাঠে সকাল সাড়ে ৭টায়। এলাকাবাসীর সঙ্গে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ডিএনসিসির কাউন্সিলর এবং কর্মকর্তারা এই জামাতে অংশগ্রহণ করেন।