-677e14a229749.jpg)
প্রতীকী ছবি।
ইবাদত একান্ত আল্লাহর জন্য। কিন্তু অনেকে অন্যের প্রশংসা অর্জনের জন্য ইবাদত করেন। যেটাকে ইসলামের ভাষায় বলা হয় রিয়া। রিয়া অর্থ লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে ইবাদত করা। যা ইসলামে একধরনের গোপন শিরক।
কোরআন ও হাদিসে রিয়ার অপকারিতা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে- যে ব্যক্তি স্বীয় প্রভুর দর্শন লাভের আশা করে, সে যেন নেক কাজ করে এবং ইবাদতে কাউকে শরিক না করে (সুরা কাহফ: ১১০)। আরেক আয়াতে বলা হয়েছে, নামাজিদের জন্য দুর্ভোগ, যারা লোক দেখানোর জন্য নামাজ পড়ে (সুরা মাউন: ৪-৬)
হাদিসে রসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, রিয়া হলো ছোট শিরক। আমি আমার উম্মতের জন্য ছোট শিরকের ভয় সবচেয়ে বেশি করি। কেয়ামতের দিন রিয়াকারীদের ডেকে বলা হবে, তোমার যে উদ্দেশ্যে ইবাদত করেছিলে, এখন তাদের কাছেই প্রতিদান চাও।
রিয়া ইবাদতকে ধ্বংস করে। ইবাদতকারীকে দোজখের পথে নিয়ে যায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি লোক দেখানোর জন্য ইবাদত করে, আল্লাহ তা কবুল করেন না। রিয়া থেকে বাঁচতে প্রয়োজন ইখলাস বা একনিষ্ঠতা। নিচে কয়েকটি করণীয় উল্লেখ করা হলো:
আশা-আকাঙ্ক্ষার নিয়ন্ত্রণ: লোকের প্রশংসা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগ করুন।
ইখলাস অর্জন: আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করুন। ইখলাস রিয়াকে দূর করে।
নফস ও শয়তানকে দমন: শয়তানের প্ররোচনা প্রতিরোধ করে তার বিপরীত কাজ করুন।
আত্মার পরিশুদ্ধি: তাজকিরায়ে নফস বা আত্মার পরিশুদ্ধি রিয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে।
দোয়া করা: আল্লাহর কাছে রিয়ামুক্ত জীবনের জন্য দোয়া করুন। রসুলুল্লাহ (সা.) দোয়া করতেন, হে আল্লাহ, আমাকে রিয়া, মিথ্যা ও চোখের খিয়ানত থেকে রক্ষা করো।
রিয়া একটি মারাত্মক অন্তরব্যাধি। এটি শুধুমাত্র আল্লাহর অসন্তুষ্টির কারণ নয়, বরং ইবাদতকারীকে ধোঁকা দেয়। তার আমলকে ধ্বংস করে। তাই, আসুন আমরা ইখলাসের সঙ্গে ইবাদত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করি।